আগমনের বছরের লক্ষণঃ
আসুন আগে
আমরা ইমাম মাহদি এর আগমনের বছরের লক্ষণ, আগমনের দিনের ঘটনা, তাঁর নিকট বাইয়াত গ্রহণের ঘটনা এবং তাঁর আগমন নিশ্চিত হবার পর তাঁর
বিরুদ্ধে বাহিনী প্রেরণের ঘটনা সম্বলিত হাদিসগুলোর দিকে চোখ বুলিয়ে নেই।
ইমাম মাহদি
এর আগমনের বছরের লক্ষণ সেই বছরের রমজান মাস থেকেই প্রকাশ পাবে।
ফিরোজ দায়লামি বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
ফিরোজ দায়লামি বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“কোন এক রমজানে
আওয়াজ আসবে”।
সাহাবাগণ
জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে? নাকি
মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে’?
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে। শুক্রবার রাতে আকাশ
থেকে একটি শব্দ আসবে। সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় সত্তর হাজার মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে
ফেলবে আর সত্তর হাজার বধির হয়ে যাবে”।
সাহাবাগণ
জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার উম্মতের কারা সেদিন নিরাপদ থাকবে’? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
“যারা নিজ নিজ ঘরে
অবস্থানরত থাকবে, সিজদায় লুটিয়ে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা
করবে এবং উচ্চ শব্দে আল্লাহু আকবর বলবে। পরে আরও একটি শব্দ আসবে। প্রথম শব্দটি হবে
জিব্রাইল এর, দ্বিতীয়টি হবে শয়তানের।
ঘটনার
পরম্পরা এরূপঃ শব্দ আসবে রমজানে। ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হবে শাওয়ালে। আরবের গোত্রগুলো
বিদ্রোহ করবে জুলকা’দা মাসে। হাজী লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটবে জিলজ্জ মাসে। আর মুহাররমের শুরুটা
আমার উম্মতের জন্য বিপদ। শেষটা মুক্তি। সেদিন মুসলমান যে বাহনে চড়ে মুক্তি লাভ
করবে, সেটি তার কাছে এক লাখ মূল্যের বিনোদন সামগ্রীতে
পরিপূর্ণ ঘরের চেয়েও বেশি উত্তম বলে বিবেচিত হবে”। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩১০)
অপর এক বর্ণনায়
আছে,
“... সত্তর হাজার
মানুষ ভয়ে পথ হারিয়ে ফেলবে। সত্তর হাজার অন্ধ হয়ে যাবে। সত্তর হাজার বোবা হয়ে যাবে
এবং সত্তর হাজার বালিকার যৌনপর্দা ফেটে যাবে”। (আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান)
হযরত আবু
হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“রমজানে আওয়াজ আসবে।
জুলকা’দায় গোত্রগুলো বিদ্রোহ করবে আর জিলহজ্জ মাসে
হাজীলুণ্ঠনের ঘটনা ঘটবে”। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩১০)
হযরত আমর
ইবনে শু’আইব এর দাদা বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“জুলকা’দা মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে দ্বন্দ ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ঘটনা ঘটবে।
ফলে হজ্জ পালনকারীরা লুণ্ঠিত হবে এবং মিনায় যুদ্ধ সংগঠিত হবে। সেখানে ব্যাপক
প্রানহানির ঘটনা ঘটবে এবং রক্তের স্রোত বয়ে যাবে। অবশেষে তাদের নেতা (হযরত মাহদি)
পালিয়ে রোকন ও মাকামে ইব্রাহিমের মধ্যখানে চলে আসবে। তাঁর অনীহা সত্ত্বেও মানুষ
তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে। তাঁকে বলা হবে, আপনি যদি
আমাদের থেকে বাইয়াত নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে আমরা আপনার
ঘাড় উড়িয়ে দিব। বদর যুদ্ধের সংখ্যার সমসংখ্যক মানুষ তাঁর হাতে বায়’আত গ্রহণ করবে। সেদিন যারা তার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে, আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে”। (মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৪৯)
---------------------------------------------
তাবরানির অপর
এক বর্ণনায় আছে,
“বাইয়াত গ্রহণকারী
মুসলমানের সংখ্যা হবে বদরী মুজাহিদগণের সংখ্যার সমান। অর্থাৎ তিনশ তের জন”। (আল মু’জামুল আসওসাত, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা ১৭৬)
মুসতাদরাকেরই
আরেক বর্ণনায় আছে, হযরত আব্দদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেছেন,
‘লোকেরা যখন পালিয়ে
হযরত মাহদির কাছে আগমন করবে, তখন মাহদি কাবাকে জড়িয়ে ধরে
ক্রন্দনরত অবস্থায় থাকবেন। (হযরত আব্দদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন) আমি যেন তাঁর
অশ্রু দেখতে পাচ্ছি। মানুষ হযরত মাহদিকে বলবে, আসুন,
আমরা আপনার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করি। হযরত মাহদি বলবেন, আফসোস! তোমরা কত প্রতিশ্রুতিই না ভঙ্গ করেছ! কত রক্তই না ঝরিয়েছ!
অবশেষে অনীহা সত্ত্বেও তিনি লোকদের থেকে বাইয়াত নেবেন। (হযরত আব্দদুল্লাহ ইবনে আমর
(রাঃ) বলেন) ওহে মানুষ! তোমরা যখন তাঁকে পাবে, তাঁর হাতে
বাইয়াত গ্রহণ করবে। কারণ, তিনি দুনিয়াতেও ‘মাহদি’, আসমানেও ‘মাহদি’।
ইমাম যুহরি
বলেছেন, হযরত মাহদির আত্মপ্রকাশের বছর দুজন ঘোষক ঘোষণা করবে। একজন আকাশ থেকে,
একজন পৃথিবী থেকে। আকাশের ঘোষক ঘোষণা করবে, লোকসকল! তোমাদের নেতা অমুক ব্যক্তি। আর পৃথিবীর ঘোষক ঘোষণা করবে,
ওই ঘোষণাকারী মিথ্যা বলেছে। এক পর্যায়ে পৃথিবীর ঘোষণাকারী যুদ্ধ
করবে। এমনকি গাছের ডাল-পাতা রক্তে লাল হয়ে যাবে। সেদিনকার বাহিনীটি সেই বাহিনী, যাকে ‘জাইশুল বারাজি’ তথা ‘জিনওয়ালা বাহিনী’ বলা হয়েছে। সেদিন যারা আকাশের ঘোষণায় সাড়া দিবে, তাদের মধ্য থেকে বদরি মুজাহিদগণের সংখ্যার সমসংখ্যক লোক তথা তিনশো
তেরজন মুসলমান প্রানে রক্ষা পাবে। অপর বর্ণনায় এসেছে, মারাত্মক
যুদ্ধ হবে – শেষ পর্যন্ত হকপন্থিদের মধ্যে শুধু বদর
যুদ্ধের সেনাসংখ্যা (৩১৩) পরিমাণ লোক অবশিষ্ট থাকবে এবং তারা সেখান থেকে ফিরে এসে
ইমাম মাহদির কাছে এসে বাইয়াত হয়ে যাবে।
হযরত ছওবান
(রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“তোমাদের
ধনভাণ্ডারের নিকট তিনজন খলীফা সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার তাদের
একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক থেকে কতগুলো কালো পতাকা আত্মপ্রকাশ করবে।
তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন
সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি”।
বর্ণনাকারী
বলেন, তারপর নবীজি
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন,
“তারপর আল্লাহর
খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর
হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়,
তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি”। (সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)
এখানে ‘খলীফা সন্তান’
অর্থ সবাই বাদশা বা শাসকের সন্তান হবে। পিতার রাজত্বের দোহাই
দিয়ে সবাই ক্ষমতার দাবী করবে। আর ‘ধন ভাণ্ডার’ দ্বারা কাবা ঘরের নিচের প্রোথিত ধন সম্পদ হতে পারে। আবার নিছক রাজত্বও
হতে পারে। কারও মতে, ফোরাত নদীর স্বর্ণ পর্বতকে বোঝানো
হয়েছে। কিন্তু রাজত্ব হবার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ,
উম্মুল
মুমিনিন হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি,
“জনৈক খলীফার
মৃত্যুকে কেন্দ্র করে করে বিরোধ সৃষ্টি হবে। তখন মদিনার একজন লোক পালিয়ে মক্কা চলে
আসবে (এই আশঙ্কায় যে, পাছে মানুষ আমাকে খলীফার পদে
অধিষ্ঠিত করে কিনা)। মক্কার লোকেরা তাঁকে খুঁজে বের করে অনিচ্ছা সত্ত্বেও রুকুন
এবং মাকামে ইব্রাহিমের মাঝামাঝি স্থানে বাইয়াত গ্রহণ করবে।
বাইয়াতের খবর
শুনে সিরিয়ার দিক থেকে এক বিশাল বাহিনী প্রেরিত হবে। মক্কা মদিনার মাঝামাঝি বায়দা নামক স্থানে এসে পৌঁছানোর পর
এই বাহিনীটিকে ভূগর্ভে ধসিয়ে দেওয়া হবে। বাহিনী ধ্বসের সংবাদ শুনে সিরিয়ার ‘আবদাল’ (শ্রেষ্ঠ মুসলমানগণ) ও ইরাকের ‘আসাইব’ (সম্মানিত মুসলিম ব্যক্তিবর্গ) মক্কায়
এসে তাঁর (ইমাম মাহদির) নিকট বাইয়াত হবে। অতঃপর সিরিয়ার বনু কালব গোত্রের এক
কুরায়শীর আবির্ভাব হবে। সিরিয়ার দিক থেকে সে বাহিনী প্রেরণ করবে। কিন্তু আল্লাহ
তাদেরকে পরাস্ত করবেন, যার ফলে তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে।
এটিই হল ‘কালবের যুদ্ধ’। যে ব্যক্তি কালবের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবে, সে ব্যর্থ বলে বিবেচিত
হবে। তাঁরপর তিনি ধনভাণ্ডার খুলে দেবেন, মাল দৌলত বণ্টন
করবেন এবং ইসলামকে বিশ্বময় খেলাফতের আদলে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন। এই অবস্থা অব্যাহত
থাকবে সাত বছর কিংবা (বলেছেন) নয় বছর”।
(আল মু’জামুল আওসাত, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৫; মুসনাদে
আবী ইয়ালা, হাদিস ৬৯৪০; ইবনে হিব্বান,
হাদিস ৬৭৫৭; আল মু’জামুল কাবীর, হাদিস ৯৩১)
ইসলামকে বিশ্বময় খেলাফতের আদলে (কালেমার একক পতাকার ছায়াতলে জাতীয়তাবাদহীন
একক ভূখণ্ড) সুপ্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তিনি পেছন দিককার শত্রুর সাথে যুদ্ধ, রোমানদের
সাথে মহাযুদ্ধ,
আন্তাকিয়ার যুদ্ধ, আমকের যুদ্ধ, ফোরাতের
তীরে যুদ্ধ, হিন্দুস্তানের (ভারতীয় উপমহাদেশ) যুদ্ধ, কুস্তুন্তুনিয়ার ( তুরস্কের
ইস্তাম্বুল) রক্তপাতহীন যুদ্ধসহ অনেক ছোটবড় যুদ্ধ তাঁর খেলাফতকালে অনুষ্ঠিত হবে।
পরবর্তী কোন লেখায় এগুলোর উপর বিষদ আলোচনা করা হবে।
উম্মুল মুমিনিন হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
“কাবা
ঘরে আশ্রিত ব্যক্তির (ইমাম মাহদি) বিরুদ্ধে বিশাল বাহিনীর আগমন হবে। বায়দার
প্রান্তরে পৌছা মাত্র বাহিনীর মধ্যভাগ ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। সম্মুখভাগ পেছন ভাগের
সেনাদেরকে ডাকাডাকি করতে থাকবে। পরক্ষনেই সম্পূর্ণ বাহিনীকে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে।
ফলে সংবাদ বাহক একজন ছাড়া আর কেউ নিস্তার পাবে না”। (মুসলিম শরীফ)
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেমন যেন করছিলেন। জাগ্রত হওয়ার পর জিজ্ঞেস করলাম, এমন
কেন করছিলেন হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন,
“খুবই
আশ্চর্যের বিষয় –
আমার উম্মতের কিছু লোক কাবা ঘরে আশ্রিত কুরায়শী
ব্যক্তিকে (ইমাম মাহদি) হত্যার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। বায়দা প্রান্তরে পৌঁছা মাত্র
সবাইকে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে”।
আমরা বললাম,
‘পথে তো অনেক মানুষের সমাগম থাকে!!’ রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
“হ্যাঁ, দর্শক,
অপারগ এবং পথিক সকলকেই একত্রে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। তবে অন্তরইচ্ছা অনুযায়ী
আল্লাহপাক তাদের পুনরুত্থান করবেন”। (মুসলিম শরীফ)
উপরের হাদিসগুলো থেকে প্রতিয়মান হয় যে, যে বছর ইমাম মাহদির আগমন
ঘটবে, সে বছরের রমজান থেকেই আলামত প্রকাশ পেতে থাকবে। এবং সেই বছরের মধ্য রমজান
হবে শুক্রবার।
২০২৫ সাল পর্যন্ত আগামী বছরগুলোতে মধ্য রমজান শুক্রবার হবার সম্ভাবনা যে
সালগুলোতে সেগুলো হল,
২০১৪ সালের ১১ ও ১২ ই জুলাই (১৪৩৫ হিজরির ১৪ ও ১৫ ই
রমজান শুক্রবার ও শনিবার),
২০১৫ সালের ২ ও ৩ জুলাই (১৪৩৬ হিজরির ১৫ ও ১৬ ই রমজান
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার),
২০১৭ সালের ৯ ও ১০ ই জুন (১৪৩৮ হিজরির ১৪ ও ১৫ ই রমজান
শুক্রবার ও শনিবার),
২০২০ সালের ৮ই মে (১৪৪১ হিজরির ১৫ ই রমজান শুক্রবার), ২০২২
সালের ১৫ ও ১৬ ই এপ্রিল (১৪৪৩ হিজরির ১৪ ও ১৫ ই রমজান শুক্রবার ও শনিবার), ২০২৩
সালের ৬ ও ৭ ই এপ্রিল (১৪৪৪ হিজরির ১৫ ও ১৬ ই রমজান বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) এবং
২০২৫ সালের ১৪ ও ১৫ ই মার্চ (১৪৪৬ হিজরির ১৪ ও ১৫ ই রমজান শুক্রবার ও শনিবার)।
চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে এবং ২৯ বা ৩০ দিনে রমজান মাস হবার উপর ভিত্তি
করে মধ্য রমজান শুক্রবার হিসাবে সাব্যস্ত হবে।
‘প্রথম
শব্দটি হবে জিব্রাইল এর,
দ্বিতীয়টি হবে শয়তানের’ দ্বারা প্রতিয়মান হয়
যে, প্রথম শব্দটি আকাশ থেকে আসবে আল্লাহর নির্দেশে। কিন্তু যেহেতু এই শব্দের
প্রভাব দুনিয়ার সতর্ক মুমিনদের চোখ খুলে দিবে এবং তাই কাফিররা প্রযুক্তির মাধ্যমে
দ্বিতীয় এমন বিকট কোন শব্দ ঘটাবে, যাকে ‘শয়তানের শব্দ’ আখ্যা
দেওয়া হয়েছে। এবং এই শব্দকে একটি প্রযুক্তিগত দুর্ঘটনা বলে দাজ্জালি মিডিয়াতে
এমনভাবে রং লাগিয়ে প্রকাশ করা হবে, যাতে দুনিয়ার সবাই
স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয় এবং অপেক্ষাকৃত উদাসীন, শেষ জামানার আলামত সম্পর্কে
অজ্ঞ ও দুর্বল ঈমানের মুসলমানরা সহজেই পথ ভ্রষ্ট হয়।
‘জনৈক
খলীফার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে করে বিরোধ সৃষ্টি’, ‘তিনজন খলীফা সন্তান যুদ্ধ
করতে থাকবে’ এবং এসময় ইমাম মাহদির ‘মদিনা থেকে মক্কায় চলে আসা’ এর
দ্বারা উদ্দেশ্য হয় যে, মৃত্যুবরণকারী খলীফা কোন এক সৌদি শাসক হবেন, যার মৃত্যুর পর তাঁর
স্থালাভিসিক্তি নিয়ে মতবিরোধ ঘটবে। বর্তমানে সৌদি রাজ পরিবারের কাছে রাজত্বের
পাশাপাশি মক্কা - মদিনার দায়িত্বপ্রাপ্তি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, সৌদি
বাদশারা তাদের নামের সাথে তাদের মক্কা – মদিনার সংশ্লিষ্টতাও লিখে
থাকেন। যেমন বর্তমান বাদশা তাঁর নাম সরকারীভাবে এভাবে লিখেনঃ King Abdullah Bin Abdul
Aziz al Saud, Kingdom of Saudi Arabia & custodian of two holy mosques.
বর্তমান বাদশার বয়স ৮৯ বছর। সৌদি রাজ পরিবারের ব্যাপারে সেখানকার সাধারণ
জনগণের অসন্তোষ,
তাঁর ভবিষ্যৎ মৃত্যু এবং মধ্য প্রাচ্যের বর্তমান
অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রও পিছিয়ে নাই। গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর ২০১৩
সালে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছাপে যার শিরোনাম ‘How 5 countries in middle
east could become 14’। সেখানে
তারা বেছে নিয়েছে সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া,
ইয়েমেন ও সৌদি আরব। (এর ভিতরে ৩ টি ভূখণ্ডের সংশ্লিষ্টতা
আছে ইমাম মাহদির আগমনের দিন, আমরা হাদিস থেকে
জেনেছি, সিরিয়ার ‘আবদাল’ বা শ্রেষ্ঠ
মুসলমানগণ ও ইরাকের ‘আসাইব’ বা সম্মানিত মুসলিম ব্যক্তিবর্গ মক্কায় এসে
ইমাম মাহদির নিকট বাইয়াত হবে)। আর সৌদি আরবকে ভাঙ্গার সম্ভাব্য কারণ দেখিয়েছেঃ
‘Saudi Arabia faces its own
(suppressed) internal divisions that could
surface as power shifts to the next generation
of princes. The kingdom’s unity is further
threatened by tribal differences, the Sunni-Shiite
divide and economic challenges’.
হাদিসেও এসেছে ‘গোত্রগুলো বিদ্রোহ করবে
জুলকা’দা মাসে’। আর সব মিলিয়ে যদি সত্যিই পশ্চিমারা অদূর ভবিষ্যতে এর সুযোগ নিতে চায়, স্বভাবতই সবচেয়ে বড় যেই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে তা হলঃ “মক্কা - মদিনার দায়িত্বপ্রাপ্তি” বা custodian of two holy
mosques.
হাদিসে উল্লেখ আছে,
‘বাইয়াতের খবর শুনে সিরিয়ার দিক থেকে এক বিশাল বাহিনী
প্রেরিত হবে’। এর অর্থ হল ইসলামের শত্রুরা হযরত মাহদির অপেক্ষায় থাকবে এবং গোয়েন্দা মারফত
হারাম শরীফের খবর নিতে থাকবে। হারাম শরীফের সিরিয়ার দিক থেকে বর্তমান সিরিয়া ব্যতীত যে ভূখণ্ডটি আছে তা হল জর্ডান (রাসুল সা. এর সময়ে এটি তৎকালীন শাম
অর্থাৎ বৃহত্তর সিরিয়ার অংশ ছিল)।
হাদিসে আরও বলা হয়েছে, পুরো বাহিনীটিকে ভূগর্ভে ধ্বসিয়ে দেওয়া
হবে এবং “সংবাদ বাহক একজন ছাড়া আর কেউ
নিস্তার পাবে না”। এরূপ এক আজাবের সাক্ষীকে স্বভাবতই গায়েব/হত্যা
করা হবে এবং কখনোই তা প্রকাশ করতে দেওয়া হবে না।
হাদিসে আরও উল্লেখ আছে, “অতঃপর সিরিয়ার বনু কালব গোত্রের এক
কুরায়শীর আবির্ভাব হবে। সিরিয়ার দিক থেকে সে বাহিনী প্রেরণ করবে”। এর অর্থ হল,
সে সময় বনু কালবও সিরিয়া শাসন করবে ও তারা ইসলামের
বিরোধিতায় লিপ্ত থাকবে।
সুফিয়ানি
আল আকামা ইবনে মাসুদ বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন,
“আমি তোমাদেরকে সাতটি মারাত্মক ফিতনার ব্যাপারে সাবধান করছি যা আমার পরে আসবে, একটি ফিতনা যা মদিনা থেকে আসবে, একটি ফিতনা যা মক্কা থেকে আসবে, একটি ফিতনা ইয়েমেন থেকে আসবে, একটি ফিতনা বৃহত্তর সিরিয়া থেকে আসবে, একটি ফিতনা যা পূর্বদিক থেকে আসবে, একটি ফিতনা যা পশ্চিম দিক থেকে আসবে এবং একটি ফিতনা যা সিরিয়ার পাহাড়ি উপত্যাকা থেকে আসবে যা হল সুফিয়ানি (সিরিয়ায় বনু কাল্ব গোত্রের অত্যাচারী শাসক)”।
ইবনে মাসুদ বলেন, ‘আমাদের ভিতরে অনেকে প্রথমগুলো দেখেছি আর বাকিগুলো আমাদের পরবর্তী পজন্ম দেখবে’।(মুসতাদরাকে হাকিম, আল ফিতান)
কোন কোন হাদিসে এই শাসককে ‘সুফিয়ানি’ হিসাবে
অবিহিত করা হয়েছে। এর কারণ,
হিসাবে হযরত আলী (রাঃ) বলেন,
“সুফিয়ানি – যে লোক শেষ যুগে সিরিয়াতে দখল প্রতিষ্ঠা করবে সে বংশগতভাবে খালিদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ানের বংসদ্ভুত হবে। তার সহচরদের মধ্যেও "কালব্যিয়া" বা "কাল্ব” গোত্রের লোক বেশি হবে। মানুষের রক্ত ঝরানো তাদের বিশেষ অভ্যাসে পরিণত হবে। যে লোকই বিরোধিতা করবে, তাকেই হত্যা করা হবে। এমনকি গর্ভস্থিত সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করবে। যখন হারাম শরীফে ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আগমনের খবর প্রকাশ পাবে তখন এই শাসক ইমাম মেহেদী (আঃ) এর বিরুদ্ধে একটি বাহিনী প্রেরণ করবে”। (মাজাহিরে হক জাদিদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৩)
“শুরুর দিকে তারা(সুফিয়ানী) ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে, পরে যখন শক্তি ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত হয়ে যাবে, তারা অত্যাচার-অবিচার ও অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়বে”। (ফয়জুল কদির, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১২৮)
অর্থাৎ প্রথমে তাদেরকে মুসলমানদের মাঝে মহান নেতা বা হিরো হিসাবে উপস্থাপন
করা হবে, কিন্তু পরে তাদের আসল রূপ প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করবে।
“প্রথম
বাহিনী বায়দায় ধ্বসে যাওয়ার পর ইমাম
মেহেদী মুজাহিদদের নিয়ে সিরিয়ার দিকে এগিয়ে যাবেন, সেখানে অন্য এক
বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করবেন এবং তাদেরকে পরাজিত করবেন। এই যুদ্ধটি “কাল্ব
যুদ্ধ” নামে হাদিসে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই বাহিনীর নেতার উপাধি ‘সুফিয়ানি’ (বনু
কালব গোত্রের এক কুরায়শী)। হযরত মেহেদী (আঃ)
তারবিয়া হ্রদের কাছে এই শাসককে হত্যা করবেন”। (আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান)
মুসলিম বিশ্বের জন্য উদ্বিগ্নের বিষয় হল, ১৯৬৬ সালে সামরিক
ক্যু এর মাধ্যমে সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারী আল আসাদ পরিবারও "কালব্যিয়া" বা
"কাল্ব" গোত্রের। তারা শিয়াদের যে শাখার অনুসারী অর্থাৎ “নুসাইরিয়া”/ “আলাভি”/
“আলাওয়াতি” রাও “কালব্যিয়া"
বা "কাল্ব" গোত্রের। এই আসাদদের অনুগত ও অনুসারী প্রশাসনিক ও সামরিক
বাহিনীর বেশির ভাগই “নুসাইরিয়া”/
“আলাভি” তথা "কালব্যিয়া" বা “কাল্ব"
গোত্রের। ইসরাইল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠের কারণে বেশির ভাগ মুসলিমরা এই
পরিবারকে হিরো মনে করে। আজ ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে তাদের আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে।
আজ তারা “আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআ”দের সাথে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত। প্রথম
শাসক ছিল হাফিজ আল আসাদ,
তার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় শাসক বাশার আল আসাদ। কিন্তু
আরবদের বিভিন্ন পশ্চিমা দালাল মিডিয়াতে নিজের "কালব্যিয়া" বা
"কাল্ব" গোত্রের পরিচয়কে গোপন করে কুরাইশ বংশের পরিচয়কে বাশার আল আসাদ
বার বার সামনে আনছে (হাদিসে এসেছে কালব গোত্রের কুরায়েশী ব্যক্তি) এবং রাসুল (সাঃ)
এর কুরাইশ বংশের ধোঁয়া তুলে বর্তমান মুসলিম জাহানের অপেক্ষাকৃত উদাসীন, শেষ
জামানার আলামত সম্পর্কে অজ্ঞ ও দুর্বল ঈমানের মুসলমানদের সহজেই পথ ভ্রষ্ট করছে।
এমনকি সিরিয়ার এই বনু কালব গোত্রীয় শাসক বাশার আল আসাদ গত ২১ শে আগস্ট ২০১৩
সালে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে দামেস্কের আলগুতা শহরে। এই ‘আলগুতা’ হাদিসের
বর্ণনা হিসাবে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কারণ, সিরিয়ার দামেস্কের “আল
গুতা" নামক স্থানটি রাসূল (সাঃ) এর
বর্ণিত "মালহামা" (মহাযুদ্ধে) একটি বড় ভূমিকা রাখবে, যেই
যুদ্ধের নেতৃত্ব দিবেন ইমাম মেহেদী।
হযরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“মহাযুদ্ধের সময় মুসলমানদের তাঁবু (ফিল্ড হেডকোয়ার্টার) হবে সিরিয়ার
সর্বোন্নত নগরী দামেস্কের সন্নিকটস্থ আলগুতা নামক স্থানে”।
(সুনানে আবি দাউদ, খণ্ড
৪, পৃষ্ঠা ১১১;
মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা
৫৩২; আল মুগনী,
খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা ১৬৯)
আলগুতা সিরিয়ায় রাজধানী দামেস্ক থেকে পূর্ব দিকে প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি অঞ্চল। মহাযুদ্ধের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দামেস্কের সন্নিকটস্থ আলগুতা নামক স্থানে ইমাম মাহদী এর হাতে থাকবে।
আর “আসমাল মাসালিক লিয়্যাম মাহাদিয়্যা মালিকি লি কুল্লু-ইদ দুনিয়া বি
ইম্রিল্লাহিল মালিক”
কিতাবে কালদা বিন জায়েদ ২১৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, হযরত
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেনঃ
“১৪০০
হিজরির সাথে আরও বিশ বা ত্রিশ বছর যোগ কর। এরপরে কোন এক সময়ে মাহদির আবির্ভাব
হবে...”। (এটি হাদিস নয়, কিতাবটিও কোন সনামধন্য কিতাব
নয়, সতর্কতার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে)
তাই বর্তমান ১৪৩৫ হিজরিতে এসে সামনের দিনগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তার উপর
উপর সিরিয়াতে বনু কালব গোত্রের দ্বিতীয় শাসক (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) এবং তার বর্তমান
কার্যক্রম।
হযরত আরতাত (রাঃ) বলেন,
“দ্বিতীয়
সুফিয়ানির জামানায় বিকট এক আওয়াজ আসবে। আওয়াজটি এতই বিকট হবে যে, প্রত্যেক
গোত্রই মনে করবে – তাদের নিকটবর্তী লোকেরা ধ্বংস হয়ে গেছে”। (আল ফিতান, ৮৫০)
তাই, কোন উপসংহারে না পৌঁছালেও বিশ্বাসী বান্দা হিসাবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি
থাকবে হাদিসে বর্ণিত মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর প্রতিটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক
সর্বোপরি সামরিক পরিস্থিতির উপর।
Khalid bin Ma'dan said:
The Sufyani will emerge
with three staffs in his hand. Anyone whom he strikes with them will die.
(Nu'aym bin Hammad)
The Sufyani is a man whose trial involves his person, his power, his speed and his fighting. One of his wonders consists of his staffs, which kill anyone he strikes with them. The hadith about the Sufyani confirms that he is a tyrant who will spread corruption and crime in the Earth immediately before the appearance of the Mahdi.
Details of the Sufyani
Name and Title
According to Imam Qurtubi, his name will be 'Urwa bin Muhammad and his talha is 'Abu Utbah' and is given the title "Sufyani" due to his descent from Abu Sufyan.
Physical characteristics
He will be a man with a large head, a pockmarked face, and white spots in his eyes.
Family Lineage
The Sufyani will be from the progeny of Yazid bin Mu'awiya. His mother will be from the tribe of Kalb, but he is from the progeny of Khalid bin Yazid bin Abu Sufyan.
Character
Outwardly he will appear to be pious, but in reality he will be an apostate.
and he will kill Kalb. So the loser of that Day of Kalb is he who does not gain even a rein." Hudhaybah asked: 'O Messenger of Allah, praise and peace be upon him, how is it permitted to kill them when they believe in the Oneness?' The Messenger of Allah, praise and peace be upon him, replied: "O Hudhayfah, they are at that time apostates, they claim that wine is permitted and do not pray." The preceding Hadiths were narrated by Hudhayfah and are found in the references of Abu Nuaym, At-Tabarani, and Abu Amru Ad Dani.
(Narrated from Ibn Mas`ud by Nu`aym ibn Hammad in Kitab al-Fitan (1:55) and, from him, by al-Hakim in the Mustadrak (4:468-469=1990 ed. 4:515) who declared it sahih)
The Sufyani is a man whose trial involves his person, his power, his speed and his fighting. One of his wonders consists of his staffs, which kill anyone he strikes with them. The hadith about the Sufyani confirms that he is a tyrant who will spread corruption and crime in the Earth immediately before the appearance of the Mahdi.
Details of the Sufyani
Name and Title
According to Imam Qurtubi, his name will be 'Urwa bin Muhammad and his talha is 'Abu Utbah' and is given the title "Sufyani" due to his descent from Abu Sufyan.
Physical characteristics
He will be a man with a large head, a pockmarked face, and white spots in his eyes.
Family Lineage
The Sufyani will be from the progeny of Yazid bin Mu'awiya. His mother will be from the tribe of Kalb, but he is from the progeny of Khalid bin Yazid bin Abu Sufyan.
Character
Outwardly he will appear to be pious, but in reality he will be an apostate.
Hadith relates to Sufiani
When the Ethiopians come after the Arabs they will be defeated and thrown into the lowest part of the earth. While these circumstances exist, As-Sufyani will come with three hundred and sixty riders until he reaches Damascus. After a month, he will be followed by thirty-thousand from Kalb, so he will send an army to Iraq and kill a hundred thousand in Az-Zawra. Then they will go to Kufa and pillage. When this occurs a banner will come from the east led by a man from Tamim called Shuayb, the son of Salih who will restore what is in their hands from the captured people of Kufa and he will kill them. Then, another army from As-Sufyani will go to Al Medina and pillage it for three days and thereafter proceed towards Mecca until they find themselves in a desert. Then, Allah will send Gabriel and say to him, 'Chastise them!' So he will beat them with his leg once and Allah will cause them to be swallowed up. None will remain except two men who will return to As-Sufyani to inform him of the swallowing-up of his army, but this will not scare him. Several men from the Koraysh will escape to Constantinople and As-Sufyani will send to the leader of the Romans who will return them to him and he will slit their throats together with their followers. At that time a voice will come from Heaven saying: 'O people, surely Allah prevents dictatorship, tyrants and their followers for you and gives leadership to the best of the nation of Muhammad. So join him in Mecca -- he is Al Mahdi!" Then, Hudhayfah asked: 'O Messenger of Allah, how shall we know him?' He replied: "He is a man from my children, he looks like the men from the children of Israel, upon him are two white cloaks with frayed edges. His face is like a colorful, glittering star, upon his right cheek there is a black mole and he is forty years old. Al Abdal and those looking like them will come to him from Syria. An-Nujaba will come to him from the dwellers of Egypt and groups of dwellers from the east, and those looking like them until they all gather together in Mecca and so they will pledge their allegiance to him between Al Rukn and Al Makam. Then he will direct himself towards Syria with Gabriel at his front and Michael at his middle and the dwellers of Heaven and Earth will be joyful because of him. Water will be plentiful in his country and the river will be spread and treasures found. When he reaches Syria he will slay As-Sufyani under the tree, the branches of which grow in the direction of Lake Tiberiasand he will kill Kalb. So the loser of that Day of Kalb is he who does not gain even a rein." Hudhaybah asked: 'O Messenger of Allah, praise and peace be upon him, how is it permitted to kill them when they believe in the Oneness?' The Messenger of Allah, praise and peace be upon him, replied: "O Hudhayfah, they are at that time apostates, they claim that wine is permitted and do not pray." The preceding Hadiths were narrated by Hudhayfah and are found in the references of Abu Nuaym, At-Tabarani, and Abu Amru Ad Dani.
(Narrated from Ibn Mas`ud by Nu`aym ibn Hammad in Kitab al-Fitan (1:55) and, from him, by al-Hakim in the Mustadrak (4:468-469=1990 ed. 4:515) who declared it sahih)
হযরত হুজায়ফা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন বলেন,
“জাওরায় (বর্তমান বাগদাদ) যুদ্ধ হবে” সাহাবাগন
জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, জাওরা কি? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বললেন, “পূর্বদিককার একটি শহর, যেটি কয়েকটি নদীর মধ্যখানে অবস্থিত। আল্লাহর সৃষ্টিকূলের নিকৃষ্টতম
সৃষ্টি ও আমার উম্মতের অত্যাচারী লোকেরা সেখানে বাস করে। তাদের উপর চার ধরনের
শাস্তি চাপিয়ে দেওয়া হবে। অস্ত্রের শাস্তি (মানে যুদ্ধ), মাটিতে
ধ্বসে যাওয়ার শাস্তি, পাথরের শাস্তি ও আকৃতি বিকৃত হওয়ার শাস্তি”।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বললেন, “যখন সুদানিরা বের হবে এবং আরবদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাবে, এমনকি আরবরা বাইতুল মুকাদ্দাস কিংবা উর্দুন (বর্তমান জর্ডান) পৌঁছে
যাবে, ঠিক এমন সময় সুফিয়ানি (সিরিয়ার বনু কাল্ব গোত্রীয়
শাসক) তিনশো ষাট অশ্বারোহী সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে আসবে। তবে কোন একটি মাস অতিবাহিত হবে
না, যাতে বনু কাল্বের ত্রিশ হাজার মানুষ তার হাতে বাইয়াত
করবে”।
সুফিয়ানি একটি বাহিনী ইরাকে প্রেরণ করবে, যার ফলে জাওরায় এক লাখ মানুষ নিহত হবে। তার অব্যাহতির পর সে দ্রুত
গতিতে কুফার দিকে অগ্রসর হবে এবং কুফাকে লুণ্ঠন করবে। এমন সময় পূর্বদিক (খোরাসান)
থেকে ‘দাব্বা’ আত্মপ্রকাশ করবে,
যাকে বনু তামিমের সুয়াইব বিন সালিহ নামক এক ব্যক্তি হাকিয়ে নিয়ে
আসবে। এই লোকটি সুফিয়ানির সৈন্যদের হাত থেকে কুফার বন্দিদের ছাড়িয়ে আনবে এবং
সুফিয়ানির সৈন্যদেরকে হত্যা করবে”।
(আসসুনানুল ওয়ারিদাতুল ফিল ফিতান, খণ্ড ৫,
পৃষ্ঠা ১১০)
এই হাদিসে ‘জাওরা’য়
যুদ্ধ হবে বলা হয়েছে। ‘জাওরা’ বাগদাদের
অপর নাম। এই অঞ্চলটি ‘দজলা’ ও ‘ফোরাত’ দুটি নদীর মধ্যখানে অবস্থিত।
হাদিসে খোরাসান থেকে একটি ‘দাব্বা’
আত্মপ্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। এর শাব্দিক অর্থ বাহন। যেটি
চালাবেন বনু তামিম গোত্রের সুয়াইব বিন সালিহ নামক এক ব্যক্তি। হতে পারে, এটি খোরাসান থেকে আগত বাহিনীর একটি অংশ।
লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, এখানে হাদিসে রাসুল (সাঃ) ইরাকের
যুদ্ধের পরই সিরিয়াতে বনুকাল্ব গোত্রের এক অত্যাচারী কুরায়শি শাসকের আবির্ভাবের
ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
আর ঘটনার 'ক্রম' বা
ধারাবাহিকতাও তাই।
আরতাত (রাঃ) বলেন,
“সুফিয়ানি কুফায় প্রবেশ করবে। তিনদিন পর্যন্ত সে দুশমনদের বন্দীদেরকে
সেখানে আটকে রাখবে এবং সত্তর হাজার কুফাবাসীকে হত্যা করে ফেলবে। তারপর সে আঠার দিন পর্যন্ত আঠার দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে তাদের (কুফাবাসীদের) সম্পদগুলো বণ্টন করবে। তাদের (কুফাবাসীদের) মধ্যে একদল
খোরাসানে ফেরত যাবে। সুফিয়ানির সৈন্যবাহিনী আসবে এবং কুফার বিল্ডিংগুলো ধ্বংস করে
সে খোরাসানবাসীদেরকে তালাশ করবে। খোরাসানে একটি দলের আবির্ভাব ঘটবে, যারা ইমাম মাহদির দিকে আহ্বান করবে। অতঃপর মাহদি ও মানসুর (একজন
সেনাপতি) উভয়ে উভয়ে কুফা থেকে পলায়ন করবে। সুফিয়ানি উভয়ের তালাশে সৈন্য প্রেরণ
করবে। অতঃপর যখন মাহদি ও মানসুর মক্কায় পৌঁছে যাবে, তখন
সুফিয়ানির বাহিনীকে ‘বায়দা’ নামক
স্থানে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। এরপর মাহদি মক্কা থেকে বের হয়ে মদিনায় যাবেন
এবং ওখানে বনু হাশেমকে মুক্ত করবেন। এমন সময় কালো পতাকাবাহী লোকেরা এসে পানির উপর
অবস্থান করবে। কুফায় অবস্থিত সুফিয়ানির
লোকেরা কালো পতাকাবাহী দলের আগমনের কথা শুনে পলায়ন করবে। কুফার সম্মানিত লোকেরা বের হবে যাদেরকে ‘আসহাব’
বলা হয়ে থাকে, তাদের কাছে কিছু অস্ত্র
শস্ত্রও থাকবে এবং তাদের মধ্যে বসরা’বাসীদের থেকে একজন
লোক থাকবে। অতঃপর কুফাবাসী সুফিয়ানির লোকদেরকে ধরে ফেলবে এবং কুফার যে সব লোক
তাদের হাতে থাকবে, তাদেরকে মুক্ত করবে। পরিশেষে কালো
পতাকাবাহী দল এসে মাহদির হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে”।
(আল ফিতানঃ ৮৫০, মুহাক্কিক আহমদ ইবনে সুয়াইব এই
হাদিসটির সনদকে ‘লাবাসা বিহা’ বা
‘বর্ণনাটি গ্রহণ করা যেতে পারে’ বলেছেন)
‘মানসুর’ সম্পর্কে হযরত হিলাল ইবনে আমর বর্ণনা
করেন, আমি হযরত আলী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“এক লোক মা-আরউন্নহর (নদীর ওপার) থেকে রওনা হবে, যার নাম হবে হারছ হাররাছ। তার বাহিনীর সম্মুখ অংশের সেনাপতির নাম হবে
মানসুর, যে (খেলাফত বিষয়ে) মুহম্মদ বংশের জন্য পথ সুগম
করবে বা শক্ত করবে, যেমনটি কুরাইশ আল্লাহর রাসুলকে ঠিকানা
দান করেছিল। তার সাহায্য সহযোগিতা করা কিংবা তার ডাকে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক
মুসলমানের কর্তব্য বলে বিবেচিত হবে”।
(সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ৪২৯০)
আমু নদীর ওপারে অবস্থিত মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে ইসলামের পরিভাষায় ‘মা-আরউন্নহর’ বা ‘নদীর
ওপার’ বলা হয়। উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান,
তুর্কমেনিস্তান,কাজিকিস্তান এর
অন্তর্ভুক্ত যা কিনা বৃহত্তর খোরাসানের একটি অংশ।
মুহম্মদ বিন হানাফিয়্যা (রহঃ) বলেন,
“বনু আব্বাস থেকে পতাকাবাহী দল বের হবে। অতঃপর খোরাসান থেকে কালো
পতাকাবাহী অন্য আরেকটি দল আত্মপ্রকাশ করবে। তাদের পাগড়ীগুলো কালো বর্ণের হবে এবং
জামা সাদা বর্ণের হবে। কালো পতাকাবাহী দল সুফিয়ানি (সিরিয়ার বনু কাল্ব গোত্রীয়
কুরায়শি শাসক) এর সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে দেবে। শেষ পর্যন্ত তারা বাইতুল
মুকাদ্দাসে এসে উপস্থিত হবে এবং তাদের নেতৃত্ব ইমাম মাহদির হাতে সোপর্দ করে দেবে। তাদের কাছে সিরিয়া থেকে তিনশত লোক আসবে। এদের (খোরাসান
থেকে কালো পতাকাবাহী) বের হওয়া এবং মাহদির হাতে নেতৃত্ব সোপর্দ করার মাঝে ৭২ মাসের
(৬ বছরের) ব্যবধান থাকবে”।
(কিতাব আল ফিতানঃ ৮৫১, দুর্বল হাদিস)
সুফিয়ানী, বনু কালব ও বাশার আল আসাদ এর পারস্প্রিক সম্প্ররক
সিরিয়ার ইতিহাসঃ আল আসাদ পরিবার
মূলত খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০০ বছর থেকে সিরিয়ার ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়। ইসলাম আসার সময়, সিরিয়া মূলত ‘শাম’ নামে পরিচিত ছিল এবং এর বৃহত্তর অংশের অন্তর্ভুক্ত ছিল বর্তমান জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন, প্যালেস্টাইন ও দখলদার ইসরাইল। ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে হযরত ওমর (রাঃ) এর খেলাফতের সময় সিরিয়া রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। এরপর হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) ও হযরত আবু ওবায়দা (রাঃ) এর নেতৃত্বে একে একে পুরো বৃহত্তর সিরিয়া (শাম) ইসলামিক খেলাফতের অধীনে আসে এবং দলে দলে সেখানকার মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে। খুলাফায়ে রাশেদিনদের পরে ১০৯৮ সাল পর্যন্ত জাজিরাতুল আরব ভিত্তিক উমাইয়াদ, আব্বাসিয়াসহ মিশরভিত্তিক কয়েকটি রাজতন্ত্রের অধীনে শাসিত হয়। ১০৯৮ থেকে ১১৮৯ সাল পর্যন্ত ক্রুসেড যুদ্ধের সময় বর্তমানের মূল সিরিয়াসহ বৃহত্তর সিরিয়ার বিভিন্ন অংশ জার্মান, ইংরেজ, ইতালি ও ফ্রান্সের দ্বারা শাসিত হয়। পরবর্তীতে সেলজুক, আইয়ুবি, মামলুকদের হাত ঘুরে এই ভূখণ্ড ১৫১৬ সালে অটোম্যান সাম্রাজ্যের অধীনে আসে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে অটোম্যান সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর মূলসিরিয়াসহ বৃহত্তর সিরিয়া ব্রিটিশ ও ফ্রান্স সেনাবাহিনীর অধীনে আসে। এবং এই দুই সাম্রাজ্যবাদী জাতি তখন একটা চুক্তির মাধ্যমে এর উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে। যদিও ১৯২০ সালে হাশেমি পরিবারের ফয়সাল নামক একজন তল্পিবাহককে আমীর করে একটি কয়েকমাসের ক্ষণস্থায়ী ‘সিয়িয়ান রাজতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু তা পরে আবার ‘ফ্রান্স ম্যান্ডেট’ এর অধীনে চলে আসে।
এমনিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত ফ্রান্স সেনাবাহিনী এবং সিরীয় জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসীদের মধ্যে দফায় দফায় কয়েকটি যুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং ১৯৩৬ সালে সিরীয় জাতীয়তাবাদীদের ও ফ্রান্সের মধ্যে স্বাধীনতা চুক্তি সম্পাদিত হয়। এবং হাসিম আল তাসিকে প্রথম রাষ্ট্রপতি করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে তা আবার ফ্রান্স সেনাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং ১৯৪৬ সালে এপ্রিল মাসে সেনা প্রত্যাহার করে প্রজাতন্ত্রী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়।
১৯৪৬ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত শুধু আরব ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৪৮) আর ঘন ঘন সামরিক অভ্যুত্থানের ইতিহাস। এর মাঝে সুয়েজ খাল নিয়ে ১৯৫৬ সালে দ্বিতীয় আরব ইসরাইল যুদ্ধের পরে সিরিয়া রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) এর সাথে মৈত্রী চুক্তি করে। এর ফলে সিরিয়া রাশিয়া থেকে সমর সরঞ্জাম এর সাথে সমাজতন্ত্রের চেতনাও আমদানী করতে সক্ষম হয়। ১৯৫৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সিরিয়া এবং মিশর ‘সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র’ এর ঘোষণা দেয় এবং ১৯৬১ সালে তা ভেঙ্গে যায়। এর মাঝে সিরিয়াতে আরব জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক সমাজতান্ত্রিক মতবাদ ‘বাথিজম’ এর উত্থান ঘটে এবং একে কেন্দ্র করেই সিরিয়ায় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হতে থাকে। ১৯৬৬ সালে সালেহ জাদিদ (হাদ্দাদিন গোত্রের), মুহাম্মদ উমরান (খাইয়্যাতিন গোত্রের) এবং হাফিজ আল আসাদ (কাল্বিয়্যা বা বনু কাল্ব গোত্রের) মিলে আরেক দফা সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হাতে নেয়। এবং আশ্চর্যজনকভাবে তিনজন অফিসারই শিয়া নুসাইরিয়া আকিদার। এরমাঝে ১৯৬৭ সালে সিরিয়া আবারও ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং গোলান মালভূমি হাতছাড়া হয়। এই বিষয়কে ভিত্তি করে যুদ্ধকালীন সামরিক প্রধান হাফিজ আল আসাদ ও অপর সামরিক শাসক সালাহ জাদিদের সাথে মতপার্থক্য প্রকট হয়। যার ফলস্বরূপ, এক রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৭০ সালে হাফিজ আল আল আসাদ ক্ষমতায় আসীন হয় এবং ২০০০ সালে তার মৃত্যুর পর ৩০ বছরের শাসন শেষে তার ছেলে বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় আসে। উল্লেখ্য, এ নুসাইরিয়া সম্প্রদায় সিরিয়ার মাত্র ১৩% শিয়ার একটি অংশ।
মূলত ১৯৭০ সালে হাফিজ আল আসাদের ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে সিরিয়া নামক গোটা ভূখণ্ডে ইসলাম আসার পরের ইতিহাসে প্রথম কোন ব্যক্তি সিরিয়ার শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হল যে কিনা আরবদের গোত্র পরিচয়ের দিক থেকে বনু কাল্ব গোত্রের এবং আকিদাগত দিক থেকে শিয়া নুয়াইরিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং জন্মগতভাবে পাহাড়ি উপত্যাকার একটি গ্রাম কারদাহা থেকে ।
আর ২০০০ সালে হাফিজ আল আসাদের মৃত্যুর পর তার ছেলে বাশার আল আসাদ সিরিয়ার ক্ষমতায় আসীন হয়।
২রা ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ সালে হামা শহরে বনু কাল্ব গোত্রীয় প্রেসিডেন্ট আসাদ ও তার সহোদর কর্নেল রিফাত আসাদের নেতৃত্বে সিরিয়ান সেনাবাহিনী আহলে-সুন্নাহ, বিশেষ করে ইখওয়ানুল মুসলিমিনের উপর যে আক্রমণ ও গণহত্যা পরিচালনা করে নিকট অতীতে তার কোন নজির নেই। সে গণহত্যায় গুম, গ্রেফতার ও দেশত্যাগীদের ছাড়া শুধু হত্যার শিকার-ই প্রায় ৪০-হাজার সাধারণ লোক।
বিভিন্ন দেশের সংবাদ পত্রে প্রকাশ, সিরিয়ার আসাদ সরকার বিদ্রোহ ও আন্দোলন দমনের জন্য সেনাবাহিনীকে যাবতীয় সহযোগিতা প্রদান করে। পৈশাচিক এ দমন অভিযানের বিরুদ্ধে জাতিগত প্রতিবাদ ও বহির্বিশ্বের চাপ ঠেকানোর জন্য আন্তঃ ও বহিঃ যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়াসহ সংবাদ পত্রের উপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। হামা শহরের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সব রাস্তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। শহর থেকে কাউকে বের হতে দেয়া হয় নি। বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ কেটে দেয়া হয়, ফলে হামলার প্রথম দিন মঙ্গলবার রাতেই পুরো শহর বিভীষিকাময় অন্ধকারে পতিত হয়। বহু মসজিদ ও গির্জা ধ্বংস করা হয়, অলিতে-গলিতে হত্যাযজ্ঞ চলে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়, বহু কবরস্থান গুড়িয়ে দেয়া হয়। অবশেষে স্বৈরশাসক ও তার বাহিনীর হাতে [২-২৮ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ই.] লাগাতার ২৭-দিন অব্যাহত গণহত্যা ও বাড়ি-ঘর ধ্বংসের পর হামা শহরের এক তৃতীয়াংশ নিঃশেষ হলে এ ধ্বংস যজ্ঞের সমাপ্তি ঘটে।
মক্কাতে ইমাম মাহদির আত্মপ্রকাশের সাথে সাথে সর্বপ্রথম যেই আরব শাসকটি মাহদির বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে সে হবে সিরিয়া নামক ভূখণ্ডের একজন অত্যাচারী শাসক যে কিনা হবে বনুকাল্ব গোত্রের ব্যক্তিত্ব। এতে এও বুঝা যায় যে, ইমাম মাহদির আত্মপ্রকাশের আগেই সে সিরিয়াতে শাসকরূপে আসীন থাকবে যার কারণে, ইমাম মাহদির আত্মপ্রকাশের সাথে সাথেই সে ইমাম মাহদির সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে যাকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘কাল্বের যুদ্ধ’ নামে আখ্যায়িত করেছেন।
কোন কোন হাদিসে এই শাসককে ‘সুফিয়ানি’ হিসাবে অবিহিত করা হয়েছে। এর কারণ, হিসাবে হযরত আলী (রাঃ) বলেন,
“সুফিয়ানি – যে লোক শেষ যুগে সিরিয়াতে দখল প্রতিষ্ঠা করবে সে বংশগতভাবে খালিদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ানের বংসদ্ভুত হবে। তার সহচরদের মধ্যেও "কালব্যিয়া" বা "কাল্ব” গোত্রের লোক বেশি হবে। দামেস্কের দিক থেকে তার আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তার মাথা বড় হবে এবং মুখে শ্বেত রোগের দাগ থাকবে। এক চোখে একটি সাদা দাগ থাকবে। মানুষের রক্ত ঝরানো তাদের বিশেষ অভ্যাসে পরিণত হবে। যে লোকই বিরোধিতা করবে, তাকেই হত্যা করা হবে। এমনকি গর্ভস্থিত সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করবে। যখন হারাম শরীফে ইমাম মেহেদী এর আগমনের খবর প্রকাশ পাবে তখন এই শাসক ইমাম মেহেদী এর বিরুদ্ধে একটি বাহিনী প্রেরণ করবে”।
(মাজাহিরে হক জাদিদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৩)
২০০০ সালে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত বনু কাল্ব গোত্রের অপর শাসক বাশার আল আসাদের জন্ম দামেস্কে।
২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে নুসাইরিয়াদের অবস্থান আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা’আ এর বিরুদ্ধে এতই নিষ্ঠুর যে, “এমনকি গর্ভস্থিত সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করবে” – হাদিসের এই লাইনটিকে পর্যন্ত তারা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত করছে। আর মহান আল্লাহ আজ প্রযুক্তির মাধ্যমে তা সারা বিশ্বে জানিয়ে দিয়েছে।
ব্রিটিশ ডাঃ ডেভিড নট, যিনি কিনা সিরিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঁচ সপ্তাহ ধরে সেচ্ছায় চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন, তার বরাত দিয়ে গত অক্টোবর ২০১৩ সালে সিএনএন, ডেইলি মেইল, ডেইলি টেলিগ্রাফসহ বহু আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এই খবর প্রচারিত হয় যে, আসাদের স্নাইপাররা গর্ভবতী মহিলাদের পেটকে লক্ষ্য করে গুলি করে গর্ভস্থিত সন্তানদের হত্যা করছে। গুলিবিদ্ধ গর্ভস্থিত শিশুর এক্স রে রিপোর্টসহ এই খবর দেখতে ইন্টারনেটে “Is this the most sickening image of the war in Syria so far? Snipers 'target unborn children in chilling competition to win cigarettes” লিখে সার্চ দিলে http://www.dailymail.co.uk এর একটি নিউজ পাওয়া যেতে পারে।
এমনকি সিরিয়ার এই বনু কালব গোত্রীয় শাসক বাশার আল আসাদ গত ২১ শে আগস্ট ২০১৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে দামেস্কের আলগুতা শহরে। এই ‘আলগুতা’ হাদিসের বর্ণনা হিসাবে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কারণ, সিরিয়ার দামেস্কের “আল গুতা" নামক স্থানটি রাসূল (সাঃ) এর বর্ণিত "মালহামা" (মহাযুদ্ধে) একটি বড় ভূমিকা রাখবে, যেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিবেন ইমাম মেহেদী।
হযরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“মহাযুদ্ধের সময় মুসলমানদের তাঁবু (ফিল্ড হেডকোয়ার্টার) হবে সিরিয়ার সর্বোন্নত নগরী দামেস্কের সন্নিকটস্থ আলগুতা নামক স্থানে”।
(সুনানে আবি দাউদ, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১১১; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৩২; আল মুগনী, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা ১৬৯)
আলগুতা সিরিয়ায় রাজধানী দামেস্ক থেকে পূর্ব দিকে প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি অঞ্চল। মহাযুদ্ধের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দামেস্কের সন্নিকটস্থ আলগুতা নামক স্থানে ইমাম মাহদী এর হাতে থাকবে।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
“সুফিয়ানির আবির্ভাব হবে দামেস্কের দিক থেকে। তার সহচরদের মধ্যেও "কালব্যিয়া" বা "কাল্ব” গোত্রের লোক বেশি হবে। সে মানুষদেরকে এমনভাবে হত্যা করবে যে এমনকি গর্ভস্থিত সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করবে। ফলে বনু কায়েস গোত্রের লোক তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবে এবং সে তাদের সবাইকে হত্যা করে ফেলবে। আমার ঘরের (আহলে বাইতের) এক ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) মক্কাতে আসবে এবং এ খবর তার কাছে পৌঁছবে। তখন সে (সুফিয়ানি) একটি সৈন্য বাহিনী পাঠাবে এবং পরাজিত হবে। এরপর সে আরেকটি বাহিনী পাঠাবে এবং মরুভূমিতে ভূমিধ্বসে ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধুমাত্র একজন লোক বেঁচে থাকবে যে কিনা (ভূমিধ্বসের) এই সংবাদ পৌঁছে দিবে”। (ইবনে হিব্বান, তিরমিজি, আবু ইয়েলী, তাবরানী, আল ফিতান, মুসতাদরাকে হাকিম)
দামেস্কে জন্মগ্রহণকারী এই বাশার আল আসাদদের অনুগত ও অনুসারী প্রশাসনিক ও সামরিক বাহিনীর বেশির ভাগই “নুসাইরিয়া”/ “আলাভি” তথা “কালব্যিয়া” বা “কাল্ব” গোত্রের। আজ তারা “আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআ”দের সাথে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত। উল্লেখ্য, হাফিজ আল আসাদের মুখে শ্বেত দাগ ছিল।
২০১১ তে যুদ্ধ শুরু হবার পর বনু কাল্ব গোত্রের বিরুদ্ধে বনু কায়েসের অবস্থান বের করতে না পারলেও পিছনের ইতিহাস থেকে জানা যায়, উমাইয়াদ খেলাফতের সময় বনু কাল্ব গোত্র ২য় মারওয়ানের বিরোধিতা করলে বনু কায়েস গোত্রই সর্বপ্রথম বনু কাল্ব গোত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
হযরত হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন খুযায়ী (রাঃ) দাঁড়িয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমরা এই সুফিয়ানিকে কিভাবে চিনব?’
উত্তরে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন,
“তার গাঁয়ে দুটি কাতওয়ানির চাদর থাকবে। তার চেহারার রং ঝলমলে তারকার মতো হবে। ডান গালে তিলক থাকবে। আর বয়স চল্লিশের কম হবে”।(আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১১১০)
ঝলমলে চেহারার অধিকারী বাশার আল আসাদ ৩৫ বছর বয়সে সিরিয়ার শাসনভার গ্রহণ করে। দুটি কাতওয়আনির চাদর বলতে যদি দুটি জাতিকে সাহায্যকারী হিসাবে বোঝানো হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা বর্তমানে ইরান (পারস্য) ও রাশিয়া (পেছনের দিকের শত্রু)-কে দেখছি। আর হাদিসেও ইমাম মাহদির আগমনের পরে যুদ্ধের সিরিয়ালে কাল্ব যুদ্ধের পরে এই দুই জাতির সাথে যুদ্ধের ইঙ্গিত এসেছে। এই দুই জাতির সাথে যুদ্ধের পরেই মহাযুদ্ধের বর্ণনা এসেছে।
ইমাম মাহদীর আবির্ভাবঃ
হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“তোমাদের ধনভাণ্ডারের নিকট তিনজন খলীফা সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে কতগুলো কালো পতাকা আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি”।
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন,
“তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি”।(সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,
“কালো পতাকা পূর্ব দিক থেকে আর হলুদ পতাকা পশ্চিম দিক থেকে আগমন করবে। সিরিয়ার কেন্দ্রভূমি তথা দামেস্কে উভয় পক্ষের মোকাবিলা হবে”। (আল ফিতান, নুয়া’ইম ইবনে হাম্মাদ)
উমর বিন মুররাহ আল জামালী (রাঃ)
বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন,
“নিশ্চই খোরাসান থেকে একদল কালো পতাকাবাহী লোকের আবির্ভাব ঘটবে এবং তাঁদের একদল তাঁদের ঘোড়াগুলো দড়ির সাহায্যে বাইতাল লাহ্যিয়া (গাজা, ফিলিস্তিন) এবং হারাস্তার (দামেস্ক, সিরিয়া) মধ্যবর্তী স্থানে জাইতুন গাছের সাথে বাধবে”। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘সেখানে কি কোন জাইতুন গাছ আছে’? তিনি বলেন, “যদি সেখানে জাইতুন গাছ নাও থাকে তাহলে
ইমাম মাহদীর আগমনের সময় সম্পর্কে তথ্যঃ
যেহেতু “রিসালাত আল খুরুজ আল মাহাদি” কিতাবের ১০৮ পৃষ্ঠায় এসেছে,“১৪০০ হিজরির পরে মানুষ ইমাম মাহদিকে ঘিরে একত্রিত হবে” (হাদিস নয়, দূর্বল বর্ননা)আর “আসমাল মাসালিক লিয়্যাম মাহাদিয়্যা মালিকি লি কুল্লু-ইদ দুনিয়া বি ইম্রিল্লাহিল মালিক” কিতাবে কালদা বিন জায়েদ ২১৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেনঃ
“১৪০০ হিজরির সাথে আরও বিশ বা ত্রিশ বছর যোগ কর। এরপরে কোন এক সময়ে মাহদির আবির্ভাব হবে...”। (এটি হাদিস নয়, কিতাবটিও কোন সনামধন্য কিতাব নয়, সতর্কতার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে)তাই বর্তমান ১৪৩৫ হিজরিতে এসে সামনের দিনগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তার উপর উপর সিরিয়াতে বনু কালব গোত্রের শাসক এবং তার বর্তমান কার্যক্রম।
2 মন্তব্যসমূহ