👑ফিলিস্তিনের মুক্তি 👑 একটি জটিল প্রক্রিয়া যা বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া সম্ভব নয়। ইরান ও আরব শাসকদের সাথে দ্বন্দ্ব, এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের অভাব মুক্তির পথে বাধা। জিহাদের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে হবে, যা একটি বৈপ্লবিক প্রক্রিয়া। আল কুদসের মুক্তি ইসলামের মাধ্যমে সম্ভব, অন্যথায় তা অসম্ভব। --- আসিফ আদনান এর বক্তব্য থেকে।
✅ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
✅✅ইরানের ভূমিকা ফিলিস্তিনের মুক্তিতে কি?
✅✅⚔︎⛊✅মুজাহাদার মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া সম্ভব কি?
🚩 ফিলিস্তিন মুক্তির জন্য ইরানকে বিশ্বাস করা ভুল। কারণ ইরানের মূল উদ্দেশ্য হল মধ্যপ্রাচ্যে শিয়াদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, যা ফিলিস্তিনের মুক্তির সাথে সম্পর্কিত নয়।
ইরান ফিলিস্তিনের মুক্তি নিয়ে কথা বললেও তাদের আসল লক্ষ্য অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীকে নিপীড়ন করা। এটি বাস্তবতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
ইরান এবং আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, যা ফিলিস্তিনের মুক্তির প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করে। এদের স্বার্থ কখনোই এক নয়।
ইরান তাদের অর্জনকে তুলে ধরলেও তাদের উদ্দেশ্য শিয়া স্বার্থের পক্ষে কাজ করা। এটি সুন্নি শক্তির জন্য একটি সতর্কতা।
🚩🚩ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য আল কুদসের পবিত্রতা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এটি ইসলামের নামে মুক্ত হতে হবে, অন্যথায় মুক্তি সম্ভব নয়।
ফিলিস্তিনের ইতিহাসে মুক্তির জন্য বাহ্যিক শক্তি প্রয়োজন ছিল। সালাউদ্দিনের সময় ফিলিস্তিন মুক্ত করতে বাহির থেকে আসতে হয়েছিল।
আল কুদসের মুক্তির প্রচেষ্টা কেবল স্থানীয় ইস্যু নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি বিশ্বব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত।
🚩🚩ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে আন্তর্জাতিক রাজনীতি কাজ করেছে। 1947 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন বিশ্বব্যবস্থা ইসরাইলের জন্ম দিয়েছে।
🚩🚩আল কুদসের মুক্তির জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রয়োজন। এটি শান্তিপূর্ণভাবে অর্জন সম্ভব নয়, বরং জিহাদের মাধ্যমে সংগ্রাম করতে হবে।
🚩🚩বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া আল কুদসের মুক্তি সম্ভব নয়। এর জন্য মুসলিম দেশগুলোর স্বাধীনতা এবং ইসলামী শরিয়া প্রতিষ্ঠা জরুরি।
✅⚔︎⛊✅
🚩🚩মুজাহাদের মাধ্যমে আল কুদসের মুক্তি অর্জন করতে হলে সংগঠিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ইতিহাসে মুক্তির প্রক্রিয়া কখনো এককভাবে হয়নি, বরং সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে হয়েছে।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অবস্থানের ভিত্তিতে আল কুদসের মুক্তির পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশের অবস্থা ও সিরিয়ার অবস্থা এক নয়, সুতরাং কৌশল ভিন্ন হবে।
মুসলিমদের জন্য আল আকসার মুক্তির প্রক্রিয়া বাস্তবসম্মত এবং প্রাগমেটিক। ইতিহাস থেকে উদাহরণ নিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে ধাপে ধাপে কাজ করলেই সফলতা আসবে।
শাসন কর্তৃত্ব অর্জন করা এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল কুদসের দিকে এগিয়ে যেতে হলে এই পদক্ষেপগুলো নিতে হবে।
ইরানের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তারা কিভাবে বিভিন্ন জায়গায় শক্তি অর্জন করেছে। এই উদাহরণগুলো বর্তমানের জন্য শিক্ষণীয়।
✅✅বিষয়টি কঠিন হলেও বাস্তববাদী উপায়ে কাজ করতে হবে। সহজ পথ বেছে নেয়া মানে বাস্তববাদী হওয়া নয়, বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে।
চীন একটি গ্লোবাল সুপার পাওয়ার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যা কমিউনিস্ট পার্টির অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে ঘটেছে। এর ফলে চীন আজ আমেরিকার প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে।
মৌসেতুংয়ের বিখ্যাত উক্তি অনুযায়ী, ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল থেকে আসে, যা রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতীক। এই বাস্তবতা চীনের শাসনের ভিত্তি।
✅✅মুসলিমদের শত্রুদের তুলনা পাখির ডানার সাথে করা হয়েছে, যেখানে ইসরাইল ও নেটো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই দুই শক্তি আরব বিশ্বের শাসকদের উপর প্রভাব ফেলে।
গাজার শিশুদের সাথে সম্পর্কিত হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলি আমাদের মানবিক দায়িত্বের প্রতি সচেতনতা বাড়ায়। এদের কষ্টের কথা আমাদের মনে রাখা উচিত।
মৃত্যু ও ধ্বংসের মধ্যে বেঁচে থাকা মানুষের কষ্ট অনুভব করা উচিত। আল কুদসের অধিবাসীরা নিজেদের প্রতি দৃঢ়তা ও স্থিরতা প্রদর্শন করছে, যা আমাদের জন্য এক শিক্ষা।
একটি পাঁচ বছর বয়সী শিশুর মৃতদেহের বর্ণনা দ্বারা আমাদের অনুভূতি গভীরভাবে প্রভাবিত হয়। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের দুঃখজনক অবস্থার কথা ভাবা উচিত।
মৃত্যুর পর আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর সময় আমাদের জবাবদিহির কথা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে আমরা আমাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করতে পারি, তা ভাবা উচিত।
ফিলিস্তিনের মানুষের দৃঢ়তা ও ধৈর্যের উদাহরণ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তারা তাদের জান-মাল আল্লাহর জন্য কোরবান করতে প্রস্তুত, যা আমাদের শিক্ষা দেয়।
✅✅আমাদের মাসিহ আসবে, এবং আমাদের কর্তব্য হল তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। মুজাহাদার মাধ্যমে আমরা আল কুদস মুক্ত করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস অনুযায়ী ইমানের অবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন আমাদের দ্বীনে ফেরার উপর নির্ভর করে।
✅✅মুজাহাদা একটি গুরুত্বপূর্ণ উজ্জীবন, যা তাওহীদ এবং সুন্নাহর শক্তির মাধ্যমে অর্জন করতে হবে। কুরবানির দরজা খুলতে হবে নিজেদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে।
✅✅আল কুদসের মুক্তির জন্য আমাদের রক্তের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। সত্যিকার দুলহানের মত, আল কুদস মুক্ত করার জন্য আমাদের সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।