লা-মাজহাবীদের ৪১টি প্রশ্নের জবাব

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ,  কথিত মাযহাবীদের নিকট কতিপয় প্রশ্ন?

১। মাযহাব কাকে বলে???

# উত্তর : মাজহাবের সংজ্ঞা , এই লিঙ্ক দেখুন--

২। মাযহাবের শাব্দিক অর্থ কি?

# উত্তর : মাজহাব মানে মতামত, বিশ্বাস, ধর্ম, আদর্শ, পন্থা, মতবাদ, উৎস।
মিসবাহুল লুগাত (থানবী লাইব্রেরী-২৬২ পৃষ্ঠা)

৩।প্রচলিত চার মাযহাব মান্য করা কি ফরয?

# উত্তর : প্রচলিত ৪ মাজহাবের এক মাজহাব মানা ওয়াজিব !

৪। যদি ফরয হয়ে থাকে তা হলে এই ফরযটি উদ্ভাবন করল কে?

# উত্তর : মহা গ্রন্থ আল কুরআন !
বিস্তারিত লিঙ্কে দেখুন , তাকলীদ করা ওয়াজিব কিভাবে? লিঙ্ক দেখুনঃ

৫। ইহা কি সকলের জন্যই?

# ত্তর : না সকলের জন্য নয় , বরং যার মাঝে ইজতেহাদ করার যুগ্যতা নাই তার জন্য তাকলিদ করা ওয়াজিব !       --বিস্তারিত 1নং উত্তরে দেখুন !

৬। না কিছু লোকের জন্য?

# উত্তর : ১ নং ও ৫ নং প্রশ্নে জবাব দেওয়া হয়েছে !

৭। যারা চার মাযহাব মানে না, তারা কি মুসলমান নয়?

# উত্তর : যার যে ইজতেহাদের যোগ্যতা না থাকা সত্তেও এই ৪ মাজহাব মানে না সে গুমরাহ !

৮। হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী হাম্বলী এই চার মাযহাব কখন সৃষ্টি হয়েছে?

# উত্তর : ১০০ হিজরীর পরে !

৯। কে সৃষ্টি করেছে????

# উতর :: সৃষ্টি হওয়ার জন্য ظرف / مظروف এর প্রয়জন যেহেতু মাজহাব কুনো ظرف / مظروف নয় বরং মুজতাহিদ ইমামগণের মত তাই এটা কে সৃষ্টি করেছে এই রকম প্রশ্ন মুর্খ ছাড়া আর কেউ করতে পারে না !

১০। কেন করেছে?

# উত্তর : মাযহাব পালনের কথা এই জন্য বলা হয় যে, যেহেতু কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে আলেম খুবই নগণ্য। যারাও আছে তারা কুরআনে কারীমের কোন আয়াতের হুকুম রহিত হয়ে গেছে, কোন আয়াতের হুকুম বহাল আছে, কোন আয়াত কোন প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে, কোন আয়াত কাদের উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে। কোন আয়াতাংশের প্রকৃত অর্থ কি? আরবী ব্যাকরণের কোন নীতিতে পড়েছে এই বাক্যটি? এই আয়াত বা হাদীসে কী কী অলংকারশাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে? ইত্যাদী সম্পর্কে বিজ্ঞ হন না। সেই সাথে কোনটি সহীহ হাদীস কোনটি দুর্বল হাদীস? কোন হাদীস কি কারণে দুর্বল? কোন হাদীস কী কারণে শক্তিশালী? হাদীসেরবর্ণনাকারীদের জীবনী একদম নখদর্পনে থাকা আলেম এখন নাই। অথচ হাদীসের বর্ণনাকারী শক্তিশালী না হলে তার দ্বারা শরয়ী হুকুমপ্রমাণিত হয়না।
এই সকল বিষয়ে প্রাজ্ঞ ব্যক্তি পাওয়া যাওয়া দুস্কর। একেতু অধিকাংশ মানুষই আলেম না। আর মুষ্টিমেয় যারা আলেম তারাও উল্লেখিতসকল বিষয় সম্পর্কে প্রাজ্ঞ নয়। তাই আমাদের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ থেকে সঠিক মাসআলা বের করা অসম্ভব।

১১। ইহা করা এবং মানার জন্য কি আল্লাহএবং রসুলের নির্দেশ আছে?

# উত্তর : বিস্তারিত লিঙ্কে দেখুন !

১২। যাদের নামে মাযহাব সৃষ্টি করা হয়েছে তারা কি এই মাযহাবগুলি বানিয়ে নিতে বলেছেন?

# উত্তর : মাজহাব অর্থ মত , আর কুরআন হাদিসের ইখ্তেলাফী মাসাইল গুলির সঠিক সমাধান তারা নিজেদের জীবনে অনেকমুjaহেদা করে দিয়ে গেছেন তাই এই মত গুলি ই তাদের বানানো , যার পিছনে রয়েছে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের বিশেষ মেহেরবানী !

১৩। রাসূল (সঃ) এবং তার সাহাবীগনের মাযহাব কি ছিল?

# উত্তর : মাযহাব কি রাসূল,সাহাবী এবং তাবেঈ কারো মানার দলীল আছে? লিঙ্ক দেখুনঃ

১৪। উহা কি এখনও প্রচলিত আছে? নাকি বন্ধ হয়ে গেছে?

# উত্তর : প্রশ্ন কারী কি ভাত খায় নাকি অন্য কিছু খায় ?

১৫। বন্ধ হলে কে বন্ধ করল?

>>উত্তর : বুদ্ধিমানের জন্য ইশারায় যতেষ্ঠ

১৬। কেন করল?

>>উত্তর : করা দীন বন্ধ কারী ? লিঙ্ক এ কিল্ক করুনঃ

১৭। বন্ধ করার অধিকার কে দিল?

>>উত্তর : নিচের লিঙ্কের বক্তার কাছ থেকে জেনে আসুন যে দিনকে বন্ধ করার ও নতুন ধর্মে আবিস্কারের অধিকার তাকে কে দিলো?  লিঙ্ক এ কিল্ক করুনঃ

১৮। আর যদি বন্ধ না হয়ে থাকে, তবে অন্যের নামে মাযহাব সৃষ্টি করার প্রয়োজন কি?

>>উত্তর : মাযহাব ও তার অপরিহার্যতা । লিঙ্ক এ কিল্ক করুনঃ

১৯। চার মাযহাব মান্য করা ফরয হলে যারা চার মাযহাব মানেন না অথবা চার মাযহাব সৃষ্টি হওয়ার আগে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের উপায় কি?

>>জবাব : ছিহাহ ছিত্তাহ অর্থাত বুখারী ,মুসলিম ,আবুদাউদ ,তিরমিজি ,নাসায়ী ,ইবনে মাজাহ না মানলে যদি কেউ কাফির হয়ে যায় তাহলে এই কিতাব গুলি লিখার আগে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের উপায় কি?
এই প্রশ্নের যেই জবাব উপরের প্রশ্নের একই জবাব !

২০। (নাউযুবিল্লাহ) তারা কি দোযখী হবেন?

>>উত্তর : নাউজুবিল্লাহ যারা সিহাহ সিত্তাহ পায় নাই তারা কি দুজখী ??
এই প্রশ্নের যেই জবাব উপরের প্রশ্নের একই জবাব !

২১। ইমাম চার জন কোন মাযহাব মানতেন?

>>উত্তর : বিস্তারিত লিঙ্কে দেখুন !

২২। তাদের পিতা-মাতা, ওস্তাদ মণ্ডলি ওপূর্বপুরুষগণ কার মাযহাব মেনে চলতেন?

>>উত্তর :ছিহাহ ছিত্তা লিখনে ওয়ালাদের বাপদাদা ওস্তাদ মণ্ডলি ও পূর্ব পুরুষরা কুন হাদিস পড়তেন ?
এই প্রশ্নের যেই জবাব উপরের প্রশ্নের একই জবাব !

২৩। সেই মাযহাব কি এখন মানা যায় না?

>>উত্তর : বুখারী মুসলিম ও হাদিসের কিতাবগুলি না মেনে যদি আগের যুগের মনিষীদের মত চলি তাহলে কি হবে না ?
এই প্রশ্নের যেই জবাব উপরের প্রশ্নের একই জবাব !

২৪। ঈমানদারীতে ও কুরআন হাদীসের বিদ্যার চার ইমাম শ্রেষ্ঠ ছিলেন না চার খলীফা?

>>উত্তর : চার খলীফা শ্রেষ্ঠ ছিলেন !

২৫। যদি খলীফাগণ শ্রেষ্ঠ হয়ে থাকেন তবে তাদের নামে মাযহাব হল না কেন?

উত্তর : বিস্তারিত লিঙ্কে দেখুন !

২৬। তারা কি ঈমামগণ অপেক্ষা কম জ্ঞানীরা যোগ্য ছিলেন?

>>উত্তর : কখনও নয় !

২৭। নবীর নামে কালেমা পড়বে, ইমামদের নামে মাযহাব মানবে আর পীর-ফকিরদের তরিকা মত চলবে এইনির্দেশ কুরআন হাদীসের কোথায় আছে?

>>উত্তর : নবীর কালিমা ও নবীর আনীত দিনের নামই হচ্ছে মাজহাব !

২৮। আল্লাহর নবীর কি মাযহাব বা তরীকা নাই?

>> উত্তর : আল্লাহর নবীর তরিকাই হচ্ছে মাজহাব বিস্তারিত লিঙ্কে দেখুন !
http://www.alkawsar.com/article/338
http://www.alkawsar.com/article/87

২৯। সেই মাযহাব বা তরীকা কি যথেষ্ট নয়?

>>উত্তর : উপরের লিংক দুটি পড়ে এবার আপনি বলুন নবীর আনীত সেই দিন ও মাজহাব কেন যতেষ্ট হবে না !

৩০। নবীর প্রতি ইসলাম কি পরিপূর্ণ করাহয় নাই???

৩১। রাসুলুল্লা (সঃ) কি কামেল নবী নন??

৩২। ইসলাম কি মুকাম্মাল ধর্ম নয়?

>>উত্তর : উপরের ৩ টি প্রশ্নের (30-31-32) আকিদা একমাত্র ফির্কায়ে আহলে হাদিস ও শিয়ারা ছাড়া কুনো মুসলমান রাখে না !

৩৩। ইসলাম পূর্ন পরিনত এবং নবী মুহাম্মাদ (সঃ) কামেল হয়ে থাকলে অন্যের মত ও পথ মান্য করার অবকাশ কোথায়?

>>উত্তর : চার মাজহাব আলাদা কুনো পথ বা মতের নাম নয় বরং ৪ মাজহাব হচ্ছে কুরআন হাদিস ভিত্তিক একটি পথ ! বিস্তারিত দেখুন লিঙ্কে !


৩৪। যারা পূর্ণ পরিনত ইসলাম এবং কামেল নবীকে অসুম্পূর্ণ প্রমান করে অন্যের দ্বারা তা পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখেছে, তারা কি কুরআন ও হাদীসের বিরোধিতা করছে না?

>>উত্তর : কামেল দীন ও নবী আ: কে উপেক্ষা করে কারা কুরআন হাদিসের বিরুধিতা করছে ?দেখে আসুন লিঙ্কে !
বাতিল ফিরকা নামধারী আহলে হাদিস খালাফীদের কুরআন হাদিস বিরুধী ভ্রান্ত আকিদা ! লিঙ্ক এ দেখুনঃ

৩৫। যে দলটি মুক্তি পাবে বলে নবী (সঃ) সুস্পষ্টভাবে ঘোষনা করেছেন- সেই নাযাত প্রাপ্ত দল চার মাযহাবের কোনটি?

>>উত্তর : তাহলে আসুন আমরা দেখি হাদিসে বর্ণিত ما انا عليه واصحابي সেই দল কারা ?
আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী কারা ? লিঙ্ক দেখুনঃ


নামদারী আহলে হাদিসরা যে কারনে নিজেদের আহলে সুন্নাহ বলে দাবী করতে পারবেনা ! লিঙ্ক দেখুনঃ

৩৬। বেহেস্তের পথ বা সিরাতুল মুস্তাকীম বুঝাবার জন্য নবী (সঃ) একটি সরল রেখা অঙ্কন করে বললেন, ইহা আল্লাহর পথ। তোমরাইহার অনুসরণ কর। তৎপর ঐ সরল রেখাটির ডানে ও বামে কতকগুলি রেখা আঁকলেনএবং বললেন, এই পথ গুলির প্রত্যেকটির একটি করে শয়তান আছে। তারা নিজ নিজ পথের দিকে ডাকছে। তোমরা ঐ পথ গুলিরঅনুসরণ করিও না। যদি কর, তা হলে তারা তোমাদিগকে সরল পথ হতে বিভ্রান্ত করে ফেলবে-(মিশকাত)।

এই হাদিস অনুযায়ী রসুলের (সঃ)পথ সিরাতুল মুস্তাকীম ব্যতীত অন্য পথগুলি কি শয়তানের পথ নয়?

>>উত্তর: সেই রেখা টানা সিরাতুল মুস্তাকিমের অনুসারী কারা ?

৩৭। কালেমা পড়া হয় নবী (সঃ) এর নামে, কবরে রাখা হয় নবীর(সঃ) তরীকায়, কবরে জিজ্ঞাসা করা হবে নবীর (সঃ) কথা, হাশর ময়দানেও নবীর(সঃ) শাফায়াত করবেন- সেই মহা নবী (সঃ)এর তরীকা বাদ দিয়ে অন্যের তরিকা মানলে নাজাত পাওয়া যাবে কি?

>>উত্তর : কারা রাসুল স: এর তরিকা বাদ দিয়ে কাফিরদের তরিকা অনুসরণ করে একটু দেখে আসুন ! বিস্তারিত লিঙ্কে দেখুন !


Part (2)
http://www.facebook.com/groups/213856132105898/permalink/243219615836216/

৩৮। বাংলাদেশে মাযহাব ও পীরের অন্ত নাই; যত পীর তত তরীকা। পীর সাহেবরা আজকাল কেবলা বানিয়ে নিয়েছে। মানুষ কিমানুষের কেবলা হতে পারে?

>>উত্তর : বাংলাদেশের বেদাতি মাজার পুজারী বেরলভী ও অস্থানাদারী ভন্ড পীরদের সাথে হানাফি মাজহাবের কুনো সম্পর্ক নাই !
বিস্তারিত লিঙ্কে দেখুন !

৩৯। তারা তাদের আস্তানাগুলিকে দায়রাশরীফ, খানকা শরীফ, মাযার শরীফ, ওরশ শরীফ, উরসেকুল প্রভৃতি নাম দিয়ে মুসলমানদের তীর্থস্থান মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের অবমাননার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে।

>>উত্তর : ওরস শরীফ , মাজার শরীফ , খানকা শরীফ , দরবার শরীফ বানিয়ে ভন্ডরা যে ভাবে মুসলমানদের মক্ষা মদিনা থেকে দুরে রাখছে !
একই ভাবে ফির্কায়ে আহলে হাদিসরাও মসজিদের নামে নিজেদের ধর্মীয় উপাসনালয় বানিয়ে মসজিদের সাইন লাগিয়ে মানুষকে ধুকা দিচ্ছে !
প্রমান দেখুন লিংকে

৪০। এগুলি কি দ্বীন ও শরিয়তের নামে ভণ্ডামি নয়?

>>উত্তর : ১০০% ভন্ডামি , তবে ফির্কায়ে আহলে হাদিসের এই ধুকাবাজি মুনাফিকীর সমান !
কারণ ভন্ডরা মসজিদের নাম প্রতারণা করছে না যেভাবে করছে ফির্কায়ে আহলে হাদিস !
প্রমান উপরের লিংকে দেখুন !

৪১। মুসলমানদের আল্লাহ এক, নবী এক, কুরআন এক, কেবলা এক এবং একই তাদের ধর্মকর্ম রীতি-নীতি। সুতরাং তাদের মুক্তি ওকল্যাণের পথ হচ্ছে মাত্র একটিই। যা ইসলাম, সিরাতে মুস্তাকীম বা তরিকায়ে মুহাম্মাদী।


>>উত্তর : ১০০% right কিন্তূ এই সিরাতে মুস্তাকিম থেকে বের হয়ে ফির্কায়ে আহলে হাদিস ১৬৪ ফিরকার ভাগ হয়ে আজ দুনিয়ার মুসলমানদের ইমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে !

আল্লাহ এইসব ফিতনাবাজ আহলে হাদিস নামক দাজ্জাল ও কাজ্জাবদের হাত থেকে মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন !
امين يا رب العالمين
Source: Omar bin aziz/Internet

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন