উকুন হওয়ার কারণ
- আসলে অপরিচ্ছন্নতাই উকুন হওয়ার প্রধাণ কারণ। ঠিকমতো গোছল না করলে বা চুল নিয়ম মতো পরিষ্কার না করলে উকুন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- তাছাড়া উকুন ছোঁয়াচে। একজনের মাথায় উকুন হলে তা পাশাপাশি অন্যের শরীরের ছড়িয়ে পড়তে পারে। অন্যের ব্যবহৃত চুলের ব্রাশ বা চিরুণি, তোয়ালে, টুপি ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে উকুন ছড়াতে পারে।
- আবার চুল পরিষ্কার করা হলেও যদি ঠিকমতো শুকানো না হয় বা ভেজা চুল বেঁধে রাখার অভ্যাস থাকে তাহলেও উকুন হতে পারে।
- উকুন বেশি হলে এবং চুলকানোর পরিমাণ বেড়ে গেলে তা থেকে মারাত্বক ক্ষত হতে পারে। এবং সেই ক্ষত থেকে রোগ সংক্রমণ হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উকুনের জীবাণু থেকে রোগ সারা শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতি করতে পারে।
আমার নিজের খুজে বেরা করা কিছু পদ্বতিঃ
- যাদের উকুনের সমস্যা বেশি তারা নিয়ম করে, চুল আঁচড়িয়ে উকুন ফেলার চেষ্টা করুন।
- চুল ছোট করে ফেলুন। ছেলেরা ন্যাড়া করে ফেলতে পারেন। মেয়েরা বব কাট।
- সাবধান কোন উকুন নাশক শ্যাম্পু বা ঔষধ ব্যাবহার করবেন না আর বাংলার মুখস্থ বিদ্যার আম ডাক্তার দের বিশ্বাস করবেন না!!!! এগুলা পুরা উকুন এর সাথে সাথে চুল ও মেরে ফেলবে।
- নিচের ফর্মুলা-১ টি ব্যাবহার করুন
নিমের পাতা বা তেল উকুনের জম!!! |
স্কয়ার ফারমারঃ স্কাবেক্স
- স্কাবেক্স (Scabex Creame: Square Pharma) পুরা মাথায় রাতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন।
- অথবা!!! নিম পাতা /নিমের তেল(MODERN HERBAL এ পাবেন)বেটে নারিকেলের তেল বা মেথির বা অলিভ অয়েল এর সাথে মিশিয়ে মাথায় লাগান। রোদে শুকান। ২/৩ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
- টানা কয়েক দিন করুন।
না হলে নিচের ফর্মুলা গুলা প্রয়োগ করে দেখতে পারেনঃ
- ১০০ মি.লি. অলিভ অয়েলের সঙ্গে ৫ থেকে ১০ গ্রাম তামাক পাতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এর সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা নিমের তেল এবং ১ চিমটি লবঙ্গগুঁড়া মিশিয়ে ভালোভাবে ঝাকিয়ে নিতে হবে। এই তেলটি প্রতিদিন রাতে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে, সকালে যে কোনো উকুন নাশক শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে টানা ১৫ দিন ব্যবহার করলে উকুন দূর করা সম্ভব।
- শ্যাম্পুর বোতলে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে রাখতে হবে। শ্যাম্পু করার সময় ঝাঁকিয়ে ব্যবহার করলে উকুনের প্রকোপ থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে।
- ন্যাপথলিন গুঁড়া করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এভাবে উকুন কমে আসবে।
- ভেজা চুল বেঁধে রাখা উচিত নয়। আর নিয়ম মতো চুল পরিষ্কার করা জরুরি।
Tags
স্বাস্থ্য