'‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.)’’ সহীহ মুসলিমের মাঝেও জাল হাদীসের দাবী করেছেন!! এ বিষয়ে বর্তমান কথিত আহলে হাদীসদের মতামত জানতে চাই
❖বর্তমানে কথিত আহলে হাদীস ভাইদেরকে দেখা যাচ্ছে, ‘‘আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.)’’ ও তার বিখ্যাত ছাত্র ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.) কে নিয়ে অসংখ্য জায়গায় বাড়াবাড়ি করতে ও তাদের মতামত গ্রহণ করতে। তাই আজ আমি নিম্মে এমন একটি হাদীস উল্লেখ করবো যাকে ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.) ‘’ ভুল বলেছেন। অথচ সেটি হলো সহীহ মুসলিম এর বর্ণনা (যেই কিতাবের সমস্ত হাদীস সহীহ বলে উম্মতের বিখ্যাত মুহাদ্দীসগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন)। তাই আমার জানার বিষয় হলো উক্ত হাদীস সম্পর্কে আপনাদের মতামত কি? দেখুন নিম্মে....
✏ সহীহ মুসলিমের বর্ণনা-
صحيح مسلم (4/ 1945)
168 - (2501) حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا النَّضْرُ وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ: كَانَ الْمُسْلِمُونَ لَا يَنْظُرُونَ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ وَلَا يُقَاعِدُونَهُ، فَقَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا نَبِيَّ اللهِ ثَلَاثٌ أَعْطِنِيهِنَّ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: عِنْدِي أَحْسَنُ الْعَرَبِ وَأَجْمَلُهُ، أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ، أُزَوِّجُكَهَا، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: وَمُعَاوِيَةُ، تَجْعَلُهُ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْكَ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: وَتُؤَمِّرُنِي حَتَّى أُقَاتِلَ الْكُفَّارَ، كَمَا كُنْتُ أُقَاتِلُ الْمُسْلِمِينَ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ أَبُو زُمَيْلٍ: وَلَوْلَا أَنَّهُ طَلَبَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَعْطَاهُ ذَلِكَ، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُسْأَلُ شَيْئًا إِلَّا قَالَ: «نَعَمْ»
অর্থ : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মুসলমানরা আবু সুফিয়ানের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করতো না এবং তার কাছে বসতোও না। একবার সে নবী (সা.) কে বললো, হে আল্লাহর নবী! তিনটি জিনিস আমাকে দিন। তিনি বললেন : আচ্ছা! সে বলল, আমার কাছে আরবদের সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাধিক সুন্দরী মহিলা রয়েছে ‘‘উম্মু হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান (রা.)।’’ তাকে আপনার সাথে বিবাহ দিব। তিনি বললেন : আচ্ছা! সে বলল, মু‘আবিয়াকে আপনার সেক্রেটারী নিযুক্ত করুন। তিন বললেন : আচ্ছা! সে বলল, আমাকে নির্দেশ দিন আমি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব যেভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। তিনি বললেন : আচ্ছা! আবূ যুমাইল বলেন, আবূ সুফিয়ান (রা.) যদি নবী (সা.) এর নিকট এগুলো না চাইতেন তাহলে তিনি তাকে এগুলো দিতেন না। কেননা তিনি তার কাছে যা চাইতেন তিনি শুধু হ্যাঁ বলতেন। সহীহ মুসলিম-৪/১৯৪৫, হাদীস-২৫০১।
❀ এখন দেখুন ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ. ‘’ এর কিতাব থেকে উক্ত হাদীস সম্পর্কে মন্তব্য-
جلاء الأفهام في فضل الصلاة على محمد خير الأنام (ص: 252)
فَالصَّوَاب أَن الحَدِيث غير مَحْفُوظ بل وَقع فِيهِ تَخْلِيط وَالله أعلم
অর্থ : সঠিক কথা হলো উক্ত হাদীসটি সংরক্ষিত নয়! বরং তার মাঝে অনেক গোলমাল হয়েছে..। জালাউল আফহাম-২৫২।
❐ উল্লেখ্য যে ইবনু হাযম (রহ.) উক্ত হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী ‘‘ইকরামা ইবনে আম্মার’’ এর কারণে হাদীসটিকে সরাসরী জাল তথা মাওজু বলেছেন। দেখুন আরো বিস্তারিত আল হাদীসুস যয়ীফ হুকমুহু ওয়া ফাওয়ায়েদুহু লি মুহাম্মাদ উবায়দুল্লাহ আল আসয়াদী-৩১-৩২।
✔ অতএব উক্ত বিষয়ে আহলে হাদীস ভাইগণ নিজেদের মন্তব্য জানিয়ে বাধিত করবেন।
✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ
❖বর্তমানে কথিত আহলে হাদীস ভাইদেরকে দেখা যাচ্ছে, ‘‘আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.)’’ ও তার বিখ্যাত ছাত্র ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.) কে নিয়ে অসংখ্য জায়গায় বাড়াবাড়ি করতে ও তাদের মতামত গ্রহণ করতে। তাই আজ আমি নিম্মে এমন একটি হাদীস উল্লেখ করবো যাকে ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ.) ‘’ ভুল বলেছেন। অথচ সেটি হলো সহীহ মুসলিম এর বর্ণনা (যেই কিতাবের সমস্ত হাদীস সহীহ বলে উম্মতের বিখ্যাত মুহাদ্দীসগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন)। তাই আমার জানার বিষয় হলো উক্ত হাদীস সম্পর্কে আপনাদের মতামত কি? দেখুন নিম্মে....
✏ সহীহ মুসলিমের বর্ণনা-
صحيح مسلم (4/ 1945)
168 - (2501) حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا النَّضْرُ وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ: كَانَ الْمُسْلِمُونَ لَا يَنْظُرُونَ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ وَلَا يُقَاعِدُونَهُ، فَقَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا نَبِيَّ اللهِ ثَلَاثٌ أَعْطِنِيهِنَّ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: عِنْدِي أَحْسَنُ الْعَرَبِ وَأَجْمَلُهُ، أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ، أُزَوِّجُكَهَا، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: وَمُعَاوِيَةُ، تَجْعَلُهُ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْكَ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: وَتُؤَمِّرُنِي حَتَّى أُقَاتِلَ الْكُفَّارَ، كَمَا كُنْتُ أُقَاتِلُ الْمُسْلِمِينَ، قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ أَبُو زُمَيْلٍ: وَلَوْلَا أَنَّهُ طَلَبَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَعْطَاهُ ذَلِكَ، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُسْأَلُ شَيْئًا إِلَّا قَالَ: «نَعَمْ»
অর্থ : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মুসলমানরা আবু সুফিয়ানের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করতো না এবং তার কাছে বসতোও না। একবার সে নবী (সা.) কে বললো, হে আল্লাহর নবী! তিনটি জিনিস আমাকে দিন। তিনি বললেন : আচ্ছা! সে বলল, আমার কাছে আরবদের সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাধিক সুন্দরী মহিলা রয়েছে ‘‘উম্মু হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান (রা.)।’’ তাকে আপনার সাথে বিবাহ দিব। তিনি বললেন : আচ্ছা! সে বলল, মু‘আবিয়াকে আপনার সেক্রেটারী নিযুক্ত করুন। তিন বললেন : আচ্ছা! সে বলল, আমাকে নির্দেশ দিন আমি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব যেভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। তিনি বললেন : আচ্ছা! আবূ যুমাইল বলেন, আবূ সুফিয়ান (রা.) যদি নবী (সা.) এর নিকট এগুলো না চাইতেন তাহলে তিনি তাকে এগুলো দিতেন না। কেননা তিনি তার কাছে যা চাইতেন তিনি শুধু হ্যাঁ বলতেন। সহীহ মুসলিম-৪/১৯৪৫, হাদীস-২৫০১।
❀ এখন দেখুন ‘‘ইবনু কাইয়্যাম আল জাওযীইয়া (রহ. ‘’ এর কিতাব থেকে উক্ত হাদীস সম্পর্কে মন্তব্য-
جلاء الأفهام في فضل الصلاة على محمد خير الأنام (ص: 252)
فَالصَّوَاب أَن الحَدِيث غير مَحْفُوظ بل وَقع فِيهِ تَخْلِيط وَالله أعلم
অর্থ : সঠিক কথা হলো উক্ত হাদীসটি সংরক্ষিত নয়! বরং তার মাঝে অনেক গোলমাল হয়েছে..। জালাউল আফহাম-২৫২।
❐ উল্লেখ্য যে ইবনু হাযম (রহ.) উক্ত হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী ‘‘ইকরামা ইবনে আম্মার’’ এর কারণে হাদীসটিকে সরাসরী জাল তথা মাওজু বলেছেন। দেখুন আরো বিস্তারিত আল হাদীসুস যয়ীফ হুকমুহু ওয়া ফাওয়ায়েদুহু লি মুহাম্মাদ উবায়দুল্লাহ আল আসয়াদী-৩১-৩২।
✔ অতএব উক্ত বিষয়ে আহলে হাদীস ভাইগণ নিজেদের মন্তব্য জানিয়ে বাধিত করবেন।
✍ ইতি মুফতী মো. ছানা উল্লাহ