কুব্বাত আস-সাখরা বা ডোম অব দ্য রক
Dome of Rock
https://bn.wikipedia.org/s/7ukiঅবস্থান: জেরুজালেম, বর্তমান ভিত্তি নির্মাণ ৬৮৫-৬৯১ সালে।
হজরত উমার রাঃ এর জমানায় জেরুজালেম বাসী অবরোধকারী মুসলিম সেনাদের বলল আমরা তোমাদের আমাদের কিবলার শহর দিয়ে দিব যদি তোমাদের বাদশা আমাদের শহরে আসে ও আমাদের পছন্দ হয়। উমার রাঃ গোলামের বেশে যখন উটের রশি ধরে জেরুজালেম প্রবেশ করছিলেন অনেক তাবেয়ী সেনারা উনাকে চিনতে ভূল করলেও ইহুদি ও খ্রিস্টান আলেমরা উনাকে চিনে নিলেন যেমন ভাবে তাদের ধর্মিয় পুস্তকে পাওয়া যায়। বিনা যুদ্বে ২য় কিবলা জয় হল। উমার রাঃ যখন ডোম অব রক এ আসলেন উনি দেখলেন ইহুদিরা তাদের সবচেয়ে দামী স্থান এর জান্নাতি পাথর (হজরে আসওয়াদ এর মতই দামী) নাপাকি ফেলে রেখেছে। কেননা তারা ও তাদের আলেম রা যুগে যুগে তাদের বিরুদ্বাচারনের কারনে এখানে অনেক নবীকে জবাই করেছিলেন।
উমার রাঃ নিজে তা পরিস্কার করলেন।
কুব্বাত আস সাখরা (আরবি ভাষায়: قبة الصخرة, হিব্রু ভাষায়: כיפת הסלע) (ডোম অব দ্য রক বলেও পরিচিত) হল জেরুজালেমের পুরনো শহরের টেম্পল মাউন্টের উপর অবস্থিত একটি গম্বুজ। উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের আদেশে ৬৯১ সালে এর নির্মাণ সমাপ্ত হয়। বর্তমানে এটি ইসলামী স্থাপত্যের সর্বপ্রাচীন নমুনা।[১] এটিকে "জেরুজালেমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান" ও "সমগ্র ইসরায়েলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান" বলে উল্লেখ করা হয়।[২][৩] গম্বুজের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কাঠামো চার্চ অব দ্য হলি সেপালকারের মত।[৪] উমাইয়া স্থাপত্যে বাইজেন্টাইন প্রভাবের উদাহরণ এ থেকে পাওয়া যায়।
এখানে অবস্থিত সাখরা নামক পাথরের কারণে স্থানটি ধর্মীয় দিক দিয়ে গুরুত্ববহ।
আল-আকসা মসজিদ/ Al Aqsa Mosque
প্রতিষ্ঠিত ৭০৫ সালে। ধারণক্ষমতা ৫,০০০+ বারান্দা সহ। দৈর্ঘ্যঃ ২৭২ ফুট, প্রস্থ ১৮৪ ফুট, আবৃত স্থান ১,৪৪,০০০ বর্গমিটার, গম্বুজ ২টি বৃহৎ + দশটি ছোট, মিনার ৪মসজিদুল আকসা (আরবি ভাষায়: المسجد الاقصى) (আল-আকসা মসজিদ বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত) ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ।[৬][৭]জেরুজালেমের পুরনো শহরে এটি অবস্থিত। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। স্থাপনাগুলো সহ এই পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়।[৮][৯][১০][১১] এছাড়াও স্থানটি "টেম্পল মাউন্ট" বলে পরিচত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। ইসলামের বর্ণনা অণুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন।[১২][১৩] ইতিহাসবিদ পণ্ডিত ইবনে তাহমিয়ার মতে ,
আসলে সুলাইমান এর তৈরি সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটির নামই হল মসজিদুল আল-আকসা ।
মুহাদ্দিসগণ (কুরানের ব্যাখ্যাকারী) এই বিষয়ে একমত যে সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটিই ইসলামের নবী সুলাইমান (আঃ) তৈরি করেছিলেন যা পরবর্তীতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ।মুসলমানরা বিশ্বাস করে , নির্মাণের পর থেকে এটি ঈসা (আঃ) (ইসলামে যিশু) সহ অনেক নবীর দ্বারা এক আল্লাহকে উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে এসেছে। এই স্থান মুসলিমদের প্রথম কিবলা (প্রার্থনার দিক)।হিজরতের পর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণে কাবা নতুন কিবলা হয়। [২৭] বর্তমানে "আল-আকসা" মসজিদ বলতে বোঝাায় কিবলি মসজিদ , মারওয়ানি মসজিদ ও বুরাক মসজিদ (৩টির) এর সমন্বয় [২৮] যা "হারাম আল শরীফ" এর চার দেয়াল এর মধ্যেই অবস্থিত। খলিফা উমর বর্তমান মসজিদের স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের যুগে মসজিদটি পুনর্নির্মিত ও সম্প্রসারিত হয়। এই সংস্কার ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দে তার পুত্র খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের শাসনামলে শেষ হয়। ৭৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিকম্পে মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর এটি পুনর্নির্মাণ করেন। পরে তার উত্তরসুরি আল মাহদি এর পুনর্নির্মাণ করেন। ১০৩৩ খ্রিষ্টাব্দে আরেকটি ভূমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফাতেমীয় খলিফা আলি আজ-জাহির পুনরায় মসজিদটি নির্মাণ করেন যা বর্তমান অবধি টিকে রয়েছে। [৩১]
Tags
ইসলামের ইতিহাস