ইমাম আবু হানীফা রাহ. কি আসলেই ৪০ বছর এশার অযু দিয়ে ফজরের নামায পড়েছেন?

লেখকের ব্যক্তিগত তাহকিক এর সারমর্ম:

  •  এটা অসম্ভব। কেননা কোন ব্যাক্তি বিরতিহীন ভাবে টানা ৪০ বছর যাবত রাত জাগতে পারে না।
  •   এটা সুন্নাতও নয়। কেননা রসুলুল্লাহ সাঃ নিজে অনেক সময় আমল প্রিয়(আমল-আসক্ত) সাহাবীকে স্বাভাবিক আমল করতে বলেছেন। বাড়াবাড়ি এড়াতে গিয়ে বলেছেন 
"তোমাদের জন্য কি আমার জীবন শিক্ষণীয় নয়? আমি রাত জাগি আবার ঘুমাইও। আমি (নফল) রোজা রাখি আবার ছেড়েও দেই"। 
  • অর্থাৎ রসুলুল্লাহ সাঃ তাহাজ্জুদ প্রতিদিনই পড়তেন কেননা এটা নবীদের জন্য ওয়াজিব। কিন্তু উনি সব সময় রাত জাগতেন না। কোন রাত পুরাই জাগতেন। কোন রাত কিছুটা জাগতেন। কিছুটা ঘুমাতেন।
  •  ইমাম আবু হানিফার আমলঃ নিম্নের বিভিন্ন উক্তি, অভিজ্ঞতা বা বর্ণনা দ্বারা এটা বুঝা যাচ্ছে উনি নিয়মিত সারা রাত (এশা থেকে ফজর) জাগতেন। আর এটা করতে গিয়ে অনেক সময় এশার অজুতে ফজর পড়তেন। কিন্তু এটা কোথাও বলা নেই উনি ৪০ বছরে কোন রাতে ঘুমান নাই। বা উনার জানাবাতের অবস্থা হয় নাই। বা উনার হাজত(পস্রাব/পায়খানা/বায়ু ত্যাগ/ঝিমানো/অসুস্থতা/বমি/) এর প্রয়োজন হয় নাই। যারা বলেছে উনারা সম্ভবত অতি ভক্ত / অতি হানাফি মাজহাব প্রেমিক।
  • ৪০ বছর বা ১৪০০ এর বেশি রাত কেও না ঘুমিয়ে কাটাবে বা পস্রাব/পায়খানা/বায়ু-ত্যাগ/ঝিমানো/অসুস্থতা/বমি ছাড়া থাকবে এটা উদ্ভট বা অবাস্তব। যা সাধারণত অতি ভক্ত পীর পূজারীরা তাদের পীর/ইমামকে অতিবাস্তব ও অন্যদের মুকাবিলায় অতি উচ্চ প্রমাণের জন্য করে থাকে।

৪০ বছর যাবত রাত জেগে ইবাদর এর পক্ষে কিছু মতঃ  আল-কাউছার থেকে।

জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন ??

ইমাম আবু হানীফা রাহ.এর ইবাদত ও যুহদের আলোচনা করতে গিয়ে যে কথাটি বেশি বলা হয় তাহল, তিনি ৪০ বছর এশার অযু দিয়ে ফজরের নামায পড়েছেন। আরবী বাংলা অনেক কিতাবে এরবর্ণনা পাওয়া যায়। এর সনদগত শুদ্ধতা বা অশুদ্ধতা সম্পর্কে আমার জানা নেই।
আমার কাছে এটাভুল মনে হয়। কারণ আলখায়রাতুল হিসান-এর ৭৪ পৃষ্ঠায় তাঁর রাত্রি জাগরণের কারণ সম্পর্কে বলাহয়েছে-
سبب إحيائه أنه سمع رجلا يقول لآخر : هذا أبو حنيفة الذي لا ينام، فقال لأبي يوسف : سبحان الله ألا ترى الله تعالى نشر لنا هذا الذكر، أو ليس بقبيح أن يعلم الله منا ضد ذلك، والله لا يتحدث الناس عني

بما لم أفعل، فكان يحيي الليل صلاة وتضرعا ودعاء.
 এ দ্বারা বুঝা গেল, তাঁর রাত্রি জাগরণ শুরু হয়েছে আবু ইউসুফ রাহ. তার শিষ্যত্ব গ্রহণের পর। আর তিনি দরস দানের কাজ শুরু করেছেন তাঁর উস্তায হাম্মাদের মৃত্যুর পর। আর শাযারাতুয যাহাবে হাম্মাদ রাহ.এর মৃত্যুর সন বলা হয়েছে ১২০ হি.। এ দ্বারা বুঝা যায় তাঁর রাত্রি জাগরণ শুরু হয় ১২০ হিজরীর পর। তিনি ইন্তেকাল  করেছেন ১৫০ হিজরীতে। সুতরাং তিনি রাত্রি জাগরণ করেছেন বেশি হলে ৩০ বছর। এর বেশি নয়। এতে তাঁর প্রশংসা বুঝা গেলেও আরেক দিকে অপবাদের মত মনে হয়। তিনি কি তার স্ত্রীর হক আদায় করেননি? উপরের কথাগুলো কতটুকু সঠিক হয়েছে আমারজানা নেই, তবে আশা করি, আপনি এ ব্যাপারে সঠিক কথাটি জানাবেন। উল্লেখ্য, সীরাতে নুমানে এ কথাকে ভুল বলা হয়েছে।

মাসিক আল কাওছার(জুন, ২০১৩) এর উত্তরঃ

"এই লেখাটি মুফতি আব্দুল মালেক সাহেব এর অনুমোদন সাপেক্ষে লেখা হয়েছে। যিনি কিনা হানাফী বা দেওবন্দী বিভিন্ন মত প্রতিষ্ঠার জন্য দলীল পেশ করে থাকেন। "
এ কথা তো অসংখ্য সূত্রে প্রায় তাওয়াতুরের পর্যায়ে প্রমাণিত যে, ইমাম আবু হানীফা রাহ.-এর অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হল, ইবাদতগুযারী এবং রাতে নফল নামায, তিলাওয়াত ও দুআয় মশগুল থাকা।

এটি ছিল তাঁর জীবনের সাধারণ চিত্র।

এজন্য হাফেয যাহাবী রাহ. অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভাষায় বলেছেন-قد تواتر قيامه الليل وتهجده وتعبده رحمه الله.
 (মানাকিবুল ইমাম আবী হানীফা ২০)

এবং হাম্মাদ ইবনে আবী সুলাইমান রাহ. (মৃত্যু ১২০ হি.) যাঁর সোহবতে দীর্ঘ দিন ইমাম আবু হানীফা রাহ. কাটিয়েছেন তিনি একদিন কোনো প্রসঙ্গেফিকহের ব্যাপারে তাঁর বিচক্ষণতা ও পারদর্শীতার প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছিলেন,
هذا مع فقهه يحيي الليل ويقومه
 (আলইনতিকা ফী ফাযায়িলিল আইম্মাতিল ফুকাহা, ইবনু আবদিল বার ১৯৪; মুয়াফফাক আলমক্কী, মানাকিবু আবী হানীফা পৃ. ২১৬)

এশার পর থেকে ফজর পর্যন্ত না ঘুমিয়ে পুরো সময় ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকতেন। ফলে ফজরের নামাযের জন্য নতুন অযুর প্রয়োজন হত না-একথাও অনেক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ আমলটিও তাঁর যিন্দেগীর এক দীর্ঘ সময়ে পরিব্যাপ্ত। এমনকি যখন তিনি তাঁর উস্তায আমর ইবনে মুররা আলকুফী রাহ. (ওফাত : ১১৬ হি.)-এর দরসে শরিক হতেন তখনও তিনি এর ওপরআমল করতেন।
এ প্রসঙ্গে তাঁর সমসাময়িক মুহাদ্দিস আবূ সিনান ইবনে সিনান আলকূফী বলেন-
كنا نختلف إلى عمرو بن مرة، فكان أبو حنيفة يصلي العشاء والفجر بطهور واحد
অর্থাৎ আমরা আমর ইবনে মুররার মজলিসে যাতায়াত করতাম, তখন আবূ হানীফা এশা ও ফজর একই ওযুতে আদায় করতেন।
(ফাযায়িলু আবী হানীফা, আবূল কাসিম ইবনু আবিল আওয়াম পৃ, ৫৭)

তবে এভাবে মোট কতদিন এশার ওযুতে ফজর পড়েছেন সে সম্পর্কে তারীখ ও মানাকেবের কিতাবে তাঁর শাগরিদ বা সমসাময়িক ব্যক্তিদের উদ্ধৃতিতে একাধিক সূত্রে বিভিন্ন হিসাব বর্ণিত হয়েছে। সেসব হিসাবের একটি হলো, যা আপনি প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ চল্লিশ বছর। এই চল্লিশ বছরের কথাটিও একাধিক রেওয়ায়েতে রয়েছে। এর মধ্যে আসাদ ইবনে আমর রাহ.-এর উদ্ধৃতিতেবর্ণিত রেওয়ায়াতটি তো দলিলযোগ্য নয়-এ কথা শায়খ যাহেদ আলকাওছারী রাহ. উল্লেখ করেছেন। কারণ এর সনদে দুজন মাজহুল রাবী এবং এর মতনে নাকারাত রয়েছে। দেখুন : যাহাবী,মানাকিবুল ইমাম আবী হানীফা পৃষ্ঠা ২৩-২৪

(টীকা)
ইমাম আবূ ইউসুফ রাহ.-এর সূত্রে ইমাম আবূ হানীফা রাহ.-এর কোনো প্রবীণ শাগরিদ বা সমসাময়িক ব্যক্তি থেকেও চল্লিশ বছরের একটি রেওয়ায়াত রয়েছে। কিন্তু এর সনদে ইবনে আতিয়্যাহ নামে একজন রাবী আছেন, যিনি জারহ-তাদীলের ইমামদের মতে নির্ভরযোগ্য নন।
(আখবারু আবী হানীফা, হুসাইন আসসয়মারী ৪৪-৪৫)


এ দুটি রেওয়ায়াত ছাড়াও চল্লিশ, ত্রিশ, পঁয়তাল্লিশ এবং অনির্দিষ্টভাবে অনেক বছর একই ওযুতে এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করার ব্যাপারে আরো কয়েকটি রেওয়ায়াত এখন আমার সামনেরয়েছে। কিন্তু সেসব রেওয়ায়াতের তাহকীক করার  সুযোগ আমার এ মুহূর্তে হয়নি। কারণ এর কোনো কোনোটির পূর্ণ সনদ সম্পর্কে এখনো আমি জানতে পারিনি বা কোনো কোনো সনদেরতাহকীকের জন্য তারীখ ও তারাজীমের যেসব কিতাব প্রয়োজন তা এখন আমাদের সংগ্রহে নেই।

তবে তারীখে বাগদাদে (১৩/৩৫৪) ইমাম আবূ হানীফা রাহ.-এর জীবনীতে তাঁর সমসাময়িক ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হাসান ইবনে উমারা রহ.-এর উদ্ধৃতিতে একটি রেওয়ায়াত রয়েছে যা সনদ ওমতনসহ নিম্নরূপ-
أخبرني الحسين بن محمد أخو الخلال، حدثنا إسحاق بن محمد بن حمدان المهلبي ببخارى، حدثنا عبد الله بن محمد بن يعقوب، حدثنا قيس بن أبي قيس، حدثنا محمد بن حرب المروزي، حدثنا إسماعيل

بن حماد بن أبي حنيفة عن أبيه قال : لما مات أبي سألنا الحسن بن عمارة أن يتولى غسله فغسل، فلما غسله قال : رحمك الله وغفر لك لم تفطر منذ ثلاثين سنة ولم تتوسد يمينك بالليل منذ أربعين سنة وقد

أتعبت من بعدك وفضحت القراء.
হাম্মাদ ইবনে আবী হানীফা বলেন, আমার পিতা যখন মারা গেলেন তখন আমরা হাসান ইবনে উমারাহকে দরখাস্ত করলাম যে, তিনি যেন আমার পিতাকে গোসল করানোর দায়িত্ব নেন। তিনি তাইকরলেন এবং গোসল করানোর সময় বললেন, আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন এবং মাগফেরাত নসীব করুন। আপনি তো ত্রিশ বছর পর্যন্ত রোযা বর্জন করেননি এবং চল্লিশ বছর পর্যন্ত রাতেবিছানায় শোননি।

উল্লেখ্য, এই রেওয়ায়াতটির সনদে কোনো মাতরুক ও জয়ীফ (পরিত্যাজ্য ও অনির্ভরযোগ্য) রাবী নেই।
সনদটি কমপক্ষে হাসান পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে হয়। তবে এই রেওয়ায়াতটিতে অবশ্য একই ওযুতে এশা ও ফজর পড়ার কথা স্পষ্টভাবে নেই। যাহোক, এখানে আমাদেরকে বিশেষভাবেকয়েকটি বিষয় মনে রাখতে হবে-
এক. আপনি অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন যে, উপরোক্ত রেওয়ায়াতগুলি মূলত ত্রিশ-চল্লিশ বা সুনির্দিষ্টভাবে কত বছর একই ওযুতে এশা ও ফজর পড়েছেন-এ বিষয়ে। কিন্তু ইমাম আবূ হানীফা রাহ.তাঁর জিন্দেগীতে দীর্ঘকাল রাতে না ঘুমিয়ে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থেকেছেন, ফলে অনেক সময়ই এশার ওজুতেই ফজর পড়েছেন একথা একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত।

এ বিষয়ের রেওয়ায়াত নিম্নোক্ত কিতাবগুলোতে পাওয়া যাবে-
১. ফাযায়িলু আবী হানীফা  (আবুল কাসিম ইবনু আবীল আওয়াম, পৃ. ৫৭-৬১)
২. আখবারু আবী হানীফা ওয়া আসহাবিহী  (কাযী আবু আব্দিল্লাহ আসসয়মারী, পৃ. ৪১-৪৬)
৩. তারীখু বাগদাদ ১৩/৩৫২-৩৫৭
৪. মানাকিবু আবী হানীফা (মুয়াফফাক আলমাক্কী, পৃ. ২০৭-২৩৩)
৫. মানাকিবু আবী হানীফা (হাফেয যাহাবী, পৃ. ২১-২৪)
৬. উকুদুল জুমান (মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ আসসালেহী, পৃ. ২১১-২২৩)

দুই. উপরোক্ত বর্ণনাগুলির কোনোটিই ইমাম আবূ হানীফা রাহ. এর নিজের বক্তব্য হিসেবে বর্ণিত হয়নি, বরং এগুলো তাঁর বিভিন্ন শাগরিদ ও সমসাময়িক ব্যক্তিদের উক্তি, যা তাদের নিজ নিজজানাশোনা ও  ধারণার উপর নির্ভরশীল। সুতরাং তাদের পরস্পরের বিবরণে পার্থক্য থাকা খুবই স্বাভাবিক।

তিন. বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, রেওয়ায়াতসমূহে মাগরিবের ওযুতে ফজরের নামায আদায়ের কথা বলা হয়নি; এশার ওযুতে ফজর পড়ার কথা বলা হয়েছে। মনে রাখতে হবে সলফরা এশার নামায আমাদের মতো মাগরিবের কিছু সময় পরেই আদায় করতেন না বরং সাধারণত আরো বিলম্ব করে পড়তেন।

চার. মূল সুন্নত তো সেটাই যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত বাণীতে বলেছেন-
صم وأفطر وقم ونم، فإن لجسدك عليك حقا وإن لعينك عليك حقا وإن لزوجك عليك حقا.
অর্থাৎ কখনো রোযা রাখবে, আবার কখনো রোযা ছাড়া থাকবে। রাতে কিছু সময় ইবাদতে মশগুল থাকবে আর কিছু সময় ঘুমাবে। কারণ তোমার উপর রয়েছে তোমার নিজ দেহের হক, চোখের হকএবং তোমার
স্ত্রীর হক।  (সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯৭৫)

কিন্তু কারো যিম্মায় অন্যের হক না থাকার কারণে অথবা খুব কম থাকার কারণে যদি সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকে তবে তা নিষিদ্ধও নয়; যদি এতে তার কোনো ফরয বা ওয়াজিব আমল ছুটেনা যায় এবং কারো কোনো হক নষ্ট না হয়। সলফ তথা সাহাবী, তাবিয়ীন ও তাবে তাবিয়ীনদের মধ্যে এ ধরনের অনেক নজির রয়েছে।

সাহাবা-তাবিয়ীন থেকে শুরু করে পরবর্তী যামানায় আল্লাহর নেক বান্দাদের বিস্ময়কর ও কষ্টসাধ্য আমল ও ইবাদত-বন্দেগীর ঘটনাবলি এবং এ সবের শরয়ী হুকুম জানার জন্যে নিম্নোক্তকিতাবগুলো দেখা যেতে পারে-
১. হিলয়াতুল আওলিয়া, হাফেজ আবু নুয়াঈম আসফাহানী
২. ইকামাতুল হুজ্জাহ আলা আন্নাল ইকছারা ফীত তাআববুদি লাইছা বিল বিদআহ, মাওলানা আবদুল হাই লখনবী (১৩০৪ হি.)
৩. আলকালামুল মুফীদ ফী ইছবাতিত তাকলীদ, মাওলানা সরফরায খান সফদার রাহ.
৪. আলউলামাউল উযযাব, শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবূ গুদ্দাহ রাহ.

বাকি থাকল আপনি ইমাম আবূ ইউসুফ রাহ.-এর উদ্ধৃতিতে যে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। মূলত এ ঘটনাটি চল্লিশ বছরের রেওয়ায়াতের পরিপন্থী নয়। কারণ এ ঘটনার আগেও যে তিনি সারারাতজেগে ইবাদতে মগ্ন থাকতেন- তা এতে নাকচ করা হয়নি। বরং ঘটনার বিবরণ থেকে বুঝা যায় যে, এ ঘটনার আগেই অনেক মানুষের মাঝে প্রসিদ্ধ ছিল যে, আবূ হানীফা রাহ. রাতে না ঘুমিয়েইবাদতে মশগুল থাকতেন। আর ১২০ হিজরীর আগেও যে তার এ আমল ছিল তা তো আবূ সিনান সাঈদ ইবনে সিনান-এর উপরোল্লিখিত বক্তব্য থেকেও প্রমাণিত হয়।


(আল কাওসার থেকে)

2 মন্তব্যসমূহ

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন