আমার ছেলে আব্দুল্লাহ একদিন আমাকে মক্তব থেকে এসে বলল আব্বু আমাকে একটি কবিতা লিখে দাও। আমি বললাম কেন? সে বলল স্যার বলেছে কবিতা লিখে আনতে কিন্তু আমি পারি না। আমি বললাম আমি তোমাকে একটি কবিতা লিখে দিব কিন্তু সেটা তো তোমার নামে হবে না। সে বলল সমস্যা নেই। আব্বুর নামে হলেও চলবে।
বাংলার বর্ণ ছড়া (আবু ওবায়দা)
কাবার পথে যাই হেঁটে
খাবার পানি নেই সাথে।
গাড়ি চড়ে দিব পাড়ি
ঘোড়া গাধা নাহি ছাড়ি।
রঙ হীন সাদা কাপড়
চকমকায় দিনের আলোয়।
ছাতা খুলব রোদেলা দিনে
জুতা হাতে বাদল দিনে।
ঝড় তুফানে পাই না ভয়
মিঞাজি সামনে রয়, তাই
টগবগিয়ে এগিয়ে যাই।
বাংলা বর্ণ ছড়া (আবু ওবায়দা)
অলী গন হাঁকে যান
আল্লাহর ঘর পানে।
ইচ্ছা ও আশা মনে
ঈদ হবে আরাফাতে।
উৎসাহ উচ্ছাসে,
ঊষা জাগে দূর আকাশে।
ঋনি মন নত হয়,
এশকের তালবীয়ায়।
ঐশী মরুর ঐ মাঠ পথ,
বিলিয়ে যায়
ওমরা বা হজ্জের বরকত।
ঔষ্ঠ্যে আজ শুধু রবেরই নাম,
লাব্বাইকে ধ্বনিতে বাজে সারা জাহান।
বাংলা বর্ণমালা (খান আতাউর রহমান)
ক- এ কলা খ- এ খাই
এত বেশি খেতে নাই
গ- এ গরু ঘ- এ ঘাস
কত ঘাস খেতে চাস ?
ঙ বলে কোলাব্যঙ সারাদিন ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ
ক খ গ ঘ ঙ ।।
চ- এ চোখ ছ- এ ছল
চোখ দুটো ছলছল
জ- এ জল ঝ- এ ঝিল
কত জল ঝিলমিল
ঞ বলে মিঞা ভাই ভয় নাই ভয় নাই
চ ছ জ ঝ ঞ ।।
ট- এ টুপি ঠ- এ ঠিক
হেরে গেলি ঠিকঠিক
ড- এ ডাল ঢ- এ ঢোল
ডাকে ঢোলে সোরগোল
তালু আর জিভে মিলে হল মূধণ্য ণ ।
ট ঠ ড ঢ ণ ।।
ত- এ তুমি থ- এ থামি
থামব নাকি আমি
দ- এ দাঁত ধ- এ ধার
কার দাঁতে কত ধার ?
দাঁতে আর জিভে মিলে হল দন্তন্য ন ।
ত থ দ ধ ন ।।
প- এ পাপ ফ- এ ফল
রাজা গেল রসাতল
ব- এ বোন ভ- এ ভাই
কত বোন কত ভাই
ম- এ মাটি ম- এ মা
মাটি আমার মা
প ফ ব ভ ম ।।
য- এ যাবে র- এ রথ
রথ যাবে ছাড়ো পথ
ল- লাল ব- বাতি
জ্বলছেরে লালবাতি
তালব্য শ- এ বলে বেশি বেশি কেন নেবে ।
য র ল ব শ ।।
তালু আর জিভে মিলে
মুর্ধ্যণ-ষ
দাঁতে আর জিভে মিলে
হ্য় দন্ত-স
ষ-এ ষাড় স-এ সাত
পালা সাপ ওরে বাপ
ঝোপ বুঝে কোপটা মারব।।
হ-এ হাতি ড়-এ বড়
হাতি দেখ কত বড়
ঢ-এ ফোটা দিলে ঢ়
মধু বড় গাঢ়
ৎ-এ কুপোকাৎ
মাৎ করে বাজিমাৎ
অ আ চন্দ্রবিন্দু।।
কথা ও সুরঃ খান আতাউর রহমান
Tags
দৈনন্দিন টিপস