** কি ধরণের ভাইরাস দ্বারা সাধারণ জ্বর-কাশি-কফ হয়ে থাকে ?**
সাধারণত ২০০ ধরনের ভাইরাস দিয়ে এ সর্দি কাশি হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাইনো ভাইরাস (৩০-৮০ শতাংশ), করোনা ভাইরাস (১০-১৫ শতাংশ) এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ( ২০-২৫ শতাংশ ) , রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস, এডেনো ভাইরাস, এন্টারো ভাইরাস, মেটা নিউমোনিয়া ভাইরাস ও কোরোনা ভাইরাস বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঋতু পরিবর্তনজনিত কারনেই হয়ে থাকে – প্রথমে সাধারণ সর্দি কাশি জ্বর হলে ও খুভি দ্রুত তা ইনফ্লোয়েঞ্জা ভাইরাস আক্রমণ করে ফ্লো জ্বরে পরিণত করে – ( এর ও কয়েকটি ভাগ রয়েছে যেমন বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদি )
রাইনো ভাইরাস জনিত জ্বর ( ভাইরাস টি আক্রমণের সাথে সাথেই শরীরে কাপুনি দিয়ে শীত আসে এবং মুলত ঠাণ্ডা জ্বর শীত মৌসুমেই বেশি হয়ে থাকে যার মুল কারন রাইনো ভাইরাস ( ৬০% ) , তবে গরম মৌসুমে ও ঠাণ্ডা জ্বর হয় তবে তা খুভ কম ( ২০% ) মত ।
• অ্যাডোনো ভাইরাস ঃ অ্যাডোনো ভাইরাস আক্রমণ করে ধীরে ধীরে এবং জ্বরের সাথে অ্যাডোনো টাইপ -১০, -শ্বাসনালি ও নরম মাংসপেশিকে আক্রমণ করে অন্য দিকে অ্যাডোনো ভাইরাস টাইপ -৪০/৪১, পাকস্থলিতে আক্রমণ করে বিধায় গেস্ট্রইন্টেস্টেনাইল জাতীয় অসুখ বা ডায়রিয়া জাতীয় অসুখ বাড়িয়ে দেয় এবং সাথে জ্বরের সকল বিদ্যমান থাকে ।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঋতু পরিবর্তনজনিত কারনেই হয়ে থাকে – প্রথমে সাধারণ সর্দি কাশি জ্বর হলে ও খুভি দ্রুত তা ইনফ্লোয়েঞ্জা ভাইরাস আক্রমণ করে ফ্লো জ্বরে পরিণত করে – ( এর ও কয়েকটি ভাগ রয়েছে যেমন বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদি )
রাইনো ভাইরাস জনিত জ্বর ( ভাইরাস টি আক্রমণের সাথে সাথেই শরীরে কাপুনি দিয়ে শীত আসে এবং মুলত ঠাণ্ডা জ্বর শীত মৌসুমেই বেশি হয়ে থাকে যার মুল কারন রাইনো ভাইরাস ( ৬০% ) , তবে গরম মৌসুমে ও ঠাণ্ডা জ্বর হয় তবে তা খুভ কম ( ২০% ) মত ।
• অ্যাডোনো ভাইরাস ঃ অ্যাডোনো ভাইরাস আক্রমণ করে ধীরে ধীরে এবং জ্বরের সাথে অ্যাডোনো টাইপ -১০, -শ্বাসনালি ও নরম মাংসপেশিকে আক্রমণ করে অন্য দিকে অ্যাডোনো ভাইরাস টাইপ -৪০/৪১, পাকস্থলিতে আক্রমণ করে বিধায় গেস্ট্রইন্টেস্টেনাইল জাতীয় অসুখ বা ডায়রিয়া জাতীয় অসুখ বাড়িয়ে দেয় এবং সাথে জ্বরের সকল বিদ্যমান থাকে ।
**কী কারণে গরমের সময় সর্দি জ্বর হয় ?**
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে মানুষের শক্তির অপচয় হয় অনেক। এই গরমে শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো স্বাস্থ্য-সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক । সর্দি-জ্বর মানব দেহের ঊর্ধ্ব-শ্বাসনালীর ভাইরাসজনিত এক ধরনের সংক্রমণ। গরমের সময় ইনফ্লুয়েনজা-এ, ইনফ্লয়েনজা সি , এডেনোভাইরাস , রাইনো – প্রভৃতি দায়ী। অনেক ক্ষেত্রে এর সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ রোগ বেশি মাত্রায় দেখা যায়। একটানা বৃষ্টি, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা সেই সাথে গাছ পালার ঝরা ফুলের রেনু, ধলা বালি, ও দূষিত অন্যান্য বায়বীয় পদার্থ ইত্যাদি হালকা ঘুড়ি বৃষ্টির বাতাসের সাথে মানুষের শ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে ও এলারজি জাতীয় সর্দি কাঁসির উৎপত্তি করে একটু বেশি ।
**কী কারণে গরমের সময় সর্দি জ্বর হয় ?**
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে মানুষের শক্তির অপচয় হয় অনেক। এই গরমে শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো স্বাস্থ্য-সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক । সর্দি-জ্বর মানব দেহের ঊর্ধ্ব-শ্বাসনালীর ভাইরাসজনিত এক ধরনের সংক্রমণ। গরমের সময় ইনফ্লুয়েনজা-এ, ইনফ্লয়েনজা সি , এডেনোভাইরাস , রাইনো – প্রভৃতি দায়ী। অনেক ক্ষেত্রে এর সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ রোগ বেশি মাত্রায় দেখা যায়। একটানা বৃষ্টি, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা সেই সাথে গাছ পালার ঝরা ফুলের রেনু, ধলা বালি, ও দূষিত অন্যান্য বায়বীয় পদার্থ ইত্যাদি হালকা ঘুড়ি বৃষ্টির বাতাসের সাথে মানুষের শ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে ও এলারজি জাতীয় সর্দি কাঁসির উৎপত্তি করে একটু বেশি । এই সময় পরিবার বা আশে পাশের একজন আক্রান্ত হলে ধিরে ধীরে অন্যান্য সবাই আক্রান্ত হবেন উক্ত ব্যাক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে- যার কারণে মন রাখবেন ইহা ও একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস জাতীয় অসুখ ।
– তবে যাদের শরীরের প্রতিরোধ শক্তি কম তারা খুভ তাড়া তাড়ি আক্রান্ত হবেন ( এদের বেলায় বৃদ্ধ বা শিশুর চাইতে ও বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায় , সেই হিসাবে যদি একজন মানুষ কে দেখতে সভাবিক মনে হওয়ার পর ও যদি সে বছরে ৪ বারের উপর বেশি সময় সর্দি জাতীয় জ্বরে আক্রান্ত হয় , তা হলে একেবারে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন তিনির অন্য কোন ধরণের মারাত্মক প্রদাহ জাতীয় সমস্যা আছেই অথবা দেহের প্রতিরোধ শক্তি একেবারে কম , ( এলারজি জাতীয় অসুখ এর আওতায় পড়বেনা )
– তবে যাদের শরীরের প্রতিরোধ শক্তি কম তারা খুভ তাড়া তাড়ি আক্রান্ত হবেন ( এদের বেলায় বৃদ্ধ বা শিশুর চাইতে ও বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায় , সেই হিসাবে যদি একজন মানুষ কে দেখতে সভাবিক মনে হওয়ার পর ও যদি সে বছরে ৪ বারের উপর বেশি সময় সর্দি জাতীয় জ্বরে আক্রান্ত হয় , তা হলে একেবারে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন তিনির অন্য কোন ধরণের মারাত্মক প্রদাহ জাতীয় সমস্যা আছেই অথবা দেহের প্রতিরোধ শক্তি একেবারে কম , ( এলারজি জাতীয় অসুখ এর আওতায় পড়বেনা )
**ঋতু পরিবর্তনে সাধারণ সর্দি-কাশি জাতীয় জ্বরের লক্ষণ ঃ**
এ সময় অনেকের বেলায় সামান্য সর্দি কাশি হওয়ার পর অল্প জ্বর এসে আবার ভাল হয়ে যান ৬৫%। কিন্তু ২০% এর বেলায় পুন আক্রমণ করে । অন্যদিকে পুনাক্রমন যাদের কে করে তাদের বেলায় ৭০% রোগি ইনফ্লোয়েঞ্জা জাতীয় ভাইরসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন । সর্দি-কাশি একটি ভাইরাসজনিত প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ, যা আমাদের শ্বসনতন্ত্রে বিশেষত গলায়, নাকে এবং সাইনাসে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
ভাইরাস ইনফেকশন হওয়ার পর ১৬ ঘণ্টা থেকে শুরু করে ২-৪ দিনের মধ্যে সাধারণত যে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। ( ৫/৭ দিন থাকতে পারে বা অনেক সময় ৪৮ ঘন্টার ভিতর ভাল হয়ে যান ৫০% )
হঠাৎ করে নাকে ও গলায় সুড়সুড়ি লাগে, জ্বালা করে৷ – হাঁচি আসা -, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরা , নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া – গা ম্যাজ ম্যাজ ও ব্যথা করে, গলা ব্যথা করা ও ঢোঁক গিলতে কষ্ট হওয়া , মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা হওয়া বা মাথা ভার ভার লাগে, অবসাদগ্রস্ততা মনে হওয়া এবং তখন সামান্য জ্বর আসবেই অথবা জ্বর জ্বর অনুভূতি আসতে পারে ( ৬০% বেলায় ১২/২৪ ঘন্টার ভিতর সেরে ও যায় ) । ৪০% বেলায় পূর্ণ জ্বর চলে আসে – ( তখন ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জিবানু আক্রমণ করলে সাইনাসের ব্যথা, কানব্যথা, ফুসফুসের প্রদাহ হতে পারে ) । অনেকের এভাবে ঘন ঘন জ্বর ওঠানামা করতে করতে ৪০% বেলায় অসুখ টি ইনফ্লোয়েঞ্জা জাতীয় জ্বরে চলে যেতে পারে বলে মনে করতে পারেন ।
ভাইরাস ইনফেকশন হওয়ার পর ১৬ ঘণ্টা থেকে শুরু করে ২-৪ দিনের মধ্যে সাধারণত যে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। ( ৫/৭ দিন থাকতে পারে বা অনেক সময় ৪৮ ঘন্টার ভিতর ভাল হয়ে যান ৫০% )
হঠাৎ করে নাকে ও গলায় সুড়সুড়ি লাগে, জ্বালা করে৷ – হাঁচি আসা -, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরা , নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া – গা ম্যাজ ম্যাজ ও ব্যথা করে, গলা ব্যথা করা ও ঢোঁক গিলতে কষ্ট হওয়া , মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা হওয়া বা মাথা ভার ভার লাগে, অবসাদগ্রস্ততা মনে হওয়া এবং তখন সামান্য জ্বর আসবেই অথবা জ্বর জ্বর অনুভূতি আসতে পারে ( ৬০% বেলায় ১২/২৪ ঘন্টার ভিতর সেরে ও যায় ) । ৪০% বেলায় পূর্ণ জ্বর চলে আসে – ( তখন ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জিবানু আক্রমণ করলে সাইনাসের ব্যথা, কানব্যথা, ফুসফুসের প্রদাহ হতে পারে ) । অনেকের এভাবে ঘন ঘন জ্বর ওঠানামা করতে করতে ৪০% বেলায় অসুখ টি ইনফ্লোয়েঞ্জা জাতীয় জ্বরে চলে যেতে পারে বলে মনে করতে পারেন ।
**মৌসুমি জ্বরের ভাইরাস কতদিন মানবদেহে থাকতে পারে ?**
ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ঐ জাতীয় ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশের পর থেকে সাতদিন থাকে । সাতদিন পরে ফ্লুর ভাইরাস মানবদেহে আর থাকে না। কারণ এ সময় মানুষের দেহে ভাইরাসের বিপক্ষে এন্টিবডি তৈরি হয়ে যায় । এ ছাড়া এন্টি ভাইরাসের ফর্মুলা অনুসারে ইহা একবার আক্রান্ত হলে একই প্রজাতির ভাইরাস দ্বারা মানুষ আর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার কথা নয় ।
যদি ৭ দিনে ভাল না হন তবে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
চিকিৎসা
সর্দি-কাশির কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, শুধু লক্ষণগুলোর চিকিৎসা করা ছাড়া। এজন্য প্রতিরোধই সর্দি-কাশি থেকে মুক্ত থাকার প্রধানতম উপায়।
জ্বর
প্রথমেই জ্বর কমানোর ব্যবস্থা হিসেবে যথাযথ মাত্রায় প্যারাসিটামল জাতীয় বা তাপমাত্রা নামিয়ে দেয় এমন ধরণের ওষুধ সেবন করতে পারেন
বাচ্চাদেরঃ প্যারাসিটামল জাতীয় পেডিয়াট্রিক সিরাপ।
বাচ্চাদেরঃ প্যারাসিটামল জাতীয় পেডিয়াট্রিক সিরাপ।
সর্দি কাশি
- সর্দি কাশি যাতে নাক বা গলা বা ফুসফুসে জমে না থাকে সে জন্য উষ্ণতা ও পাতলা করার জন্য গরম ভাস্প পানির শ্বাস নিতে পারেন সাথে মেন্থাল মিশ্রিত করে দিলে আর ভাল অথবা নাকের ড্রপ ব্যাবহার করতে পারে ( ৩ দিনের উপর নাকের ড্রপ ব্যাবাহার উচিৎ নয় ),
- এলারজি জনিত মনে করলে এন্টি হিস্টামিন গ্রোফের ঔষধ বা সিরাপ ব্যাবহার করতে পারেন (সেট্রিজিন, লোরাটিডিন জাতীয় ওষুধ একক মাত্রায় খেয়ে দেখতে পারেন – অনেকের এন্টিহিস্টামিন শরীরে তন্দ্রা ভাব আনে বিধায় চিকিৎসকের পরামর্ষে তন্দ্রাবিহিন এন্টিহিস্টামিন সেবন করতে পারেন )
- কফ বাহির কারি সালবিউটামল জাতীয় গ্রোফের ঔষধ সেবন করতে পারেন ( ২ বছরের নিচের শিশুদের জন্য এবং হার্টের অসুখ জনিত ব্যাক্তিদের বেলায় চিকিৎসকের পরামর্ষ ছাড়া ব্যাবহার করবেন না ) ।
- স্কয়ার এর "ADOVAS" হারবাল সিরাপ খেতে পারেন।
- লেবু চা। লেবুর সরবত। লেবু-আদার চা। লেবু তুলসি চা।
- গরম চা, সূপ।
- রসুনের সূপ, রসূন সিদ্ব খেতে পারেন।
- রসুন মিশ্রিত সরিষা/অলিভ এর তেল গায়ে মালিশ করতে পারেন।
- কালি জিরা খেতে পারেন।
- কালি জিরার তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- কালি জিরার তেল মালিশ বা নাকে দিতে পারেন।
- ভেষজ চিকিৎসা হিসাবে ১ চা চামচ জিরা এবং ৪-৬টা তুলসীপাতা এক গ্লাস পানিতে নিয়ে সিদ্ধ করে সেখান থেকে প্রতিদিন দুইবার ১ চা চামচ করে খেলে কিছুটা ফল পাওয়া যেতে পারে ।
- খাবারের সাথে হালকা পাতলা জুল স্পাইসি খাবার খেলে অনেক টা ভাল ফল পাওয়া যায় ।
- এলারজি জনিত মনে করলে এন্টি হিস্টামিন গ্রোফের ঔষধ বা সিরাপ ব্যাবহার করতে পারেন (সেট্রিজিন, লোরাটিডিন জাতীয় ওষুধ একক মাত্রায় খেয়ে দেখতে পারেন – অনেকের এন্টিহিস্টামিন শরীরে তন্দ্রা ভাব আনে বিধায় চিকিৎসকের পরামর্ষে তন্দ্রাবিহিন এন্টিহিস্টামিন সেবন করতে পারেন )
- কফ বাহির কারি সালবিউটামল জাতীয় গ্রোফের ঔষধ সেবন করতে পারেন ( ২ বছরের নিচের শিশুদের জন্য এবং হার্টের অসুখ জনিত ব্যাক্তিদের বেলায় চিকিৎসকের পরামর্ষ ছাড়া ব্যাবহার করবেন না ) ।
- স্কয়ার এর "ADOVAS" হারবাল সিরাপ খেতে পারেন।
- লেবু চা। লেবুর সরবত। লেবু-আদার চা। লেবু তুলসি চা।
- গরম চা, সূপ।
- রসুনের সূপ, রসূন সিদ্ব খেতে পারেন।
- রসুন মিশ্রিত সরিষা/অলিভ এর তেল গায়ে মালিশ করতে পারেন।
- কালি জিরা খেতে পারেন।
- কালি জিরার তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- কালি জিরার তেল মালিশ বা নাকে দিতে পারেন।
- ভেষজ চিকিৎসা হিসাবে ১ চা চামচ জিরা এবং ৪-৬টা তুলসীপাতা এক গ্লাস পানিতে নিয়ে সিদ্ধ করে সেখান থেকে প্রতিদিন দুইবার ১ চা চামচ করে খেলে কিছুটা ফল পাওয়া যেতে পারে ।
- খাবারের সাথে হালকা পাতলা জুল স্পাইসি খাবার খেলে অনেক টা ভাল ফল পাওয়া যায় ।
ঔষধ
- এন্টিবায়োটিকঃ যদি ও কোনরকম জটিলতা ছাড়াই পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যে অসুখ টি এমনিতেই সেরে যায় । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ( ৪৩% ) ইনফ্লোয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণে জটিল হয়ে যেতে পারে বিধায় গলা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট , মুখ ফুলা , নিউমোনিয়া বা আর অন্যান্য যে কোন উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্ষে এন্টোবায়োটিক সেবন করার চেস্টা করবেন । কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন জ্বর হওয়ার সাথে সাথেই যারা এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করেন তা সম্পূর্ণ ভুল বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নস্ট করে দেয় ।
- অবশ্য বর্তমানে এন্টিভাইরাল হিসাবে বহুল আলোচিত বেশ কিছু ঔষধ বাহির হয়েছে যা এফ ডি এ কৃতক অনুমুদিত Oseltamivir / Zanamavir (Relenza) Amantadine (Symmetrel ) / (স্কয়ারঃ AVIFLU, TAMIFLU)গ্রুফের ঔষধ ব্যাবহার করা হয় ক্যাপসুল বা সিরাপ আকারে – যা ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধক হিসাবে ভাল সুনাম আছে
- যারা বারে বারে ইনফ্লোয়েঞ্জার শিকার হন তাদের জন্য বাজারে ভ্যাক্সিন ও বাহির হয়েছে তা প্রয়োগ করে প্রতিরোধ করতে পারেন ।
- সদ্য এফ ডি কৃতক অনুমোদিত ইনফ্লোয়েঞ্জা trivalent vaccine বা নাকের ড্রপ ব্যাবহার করলে পরবর্তী ১০ মাস পর থেকে আর ইনফ্লোয়েঞ্জা জাতীয় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনা নাই ।
- হারবাল হিসাবে আপনি নিম্নের ঔষধ ব্যাবহার করে দেখতে পারেন , যা সম্প্রতি গবেষণায় বিশেষ ভুমিকা রাখছে Andrographic paniculata (Square: Livolite) ( গর্ভবতী ও দুধ দাতা মায়েদের জন্য নিশেধ ) – অথবা Echinacea (Echinacea purpurea, 300 mg 3 times per day) ( টান্ডা জ্বরের জন্য ভাল একটা প্রতিষেধক )
ঘরোয়া সাময়িক সেবাঃ
- চেস্টা করবেন বিশ্রামে থাকার
- অতিরিক্ত জ্বর থাকলে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে সারা শরীর মুছে দেওয়া অর্থাৎ স্পঞ্জিং করা উচিত। জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে না আসা পর্যন্ত এই স্পঞ্জিং চালিয়ে যাবেন।
- বেশি জ্বর হলেঃ আইচ থেরাপি দিতে পারেন। আইচ প্যাক (ঠান্ডা পানি ভর্তি পলিথিন) মাথায় দিয়ে জ্বর নামান।
- সে সময় আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত জ্বরে প্রচুর ঘাম হওয়ার ফলে শরীরে অচেতনতা প্রতিরোধ করে রাখতে প্রচুর পানি পান করার সাথে খাওয়ার সেলাইন বা লবন যোক্ত পানি অথবা ফ্রেশ ফলের রস খাওয়া দরকার । ( লেবুর রস, আনারস, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া বেশ ভাল )
- তবে ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার (আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড ড্রিঙ্কস) পরিহার করতে হবে।
- এবং চেস্টা করবেন আপনার ব্যাবহারিক রুমাল টাওাল বা হাঁচির স্পর্শে অন্য কেউ যাতে সরাসরি না আসেন কারন ইহা ছোঁয়াচে ( শিশুদের বেলায় অবশ্যই দূরে থাকার চেস্টা করবেন )
- অসুখ ভাল হওয়ার পর ও কয়েক সপ্তাহ পুষ্টিকর খাবার খেয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে পরবর্তী ভাইরাস জ্বরের আক্রমণ অনেক দেরিতে আক্রান্ত হবেন ইহা নিশ্চিত ।
ধন্যবাদ