নৌপথে রাঙ্গামাটি থেকে সাজেক

 

রাংগামাটি থেকে সাজেক নৌভ্রমন (কাপ্তাই লেক)

রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে মারিশ্যা/লংডু  যাতায়াতঃ 

রাঙ্গামাটি, রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে।
বিরতিহীন  লঞ্চটি সকাল ৭ঃ৩০ এ ছেড়ে যায়। তাই মিস করবেন না।
ভাড়া জনপ্রতি ১৪০-২০০ টাকা। সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা।

মারিশ্যা অবস্থান/হোটেলঃ

রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা ডাক বাংলো'র কেয়ারটেকারের নাম্বারঃ মোঃ শাহজাহান ০১৫৫৩১০৮৯৬৮। যাবার আগে উনাকে ফোন দিয়ে লঞ্চ চলাচল করে কি না তা জেনে নিতে পারেন আর রাতে থাকতে চাইলে বুকিং দিতে পারেন। আমরা রাতে ছিলাম, ভালোই ব্যাবস্থা রাত্রিযাপনের।

মারিশ্যা/লংডু থেকে সাজেকঃ সড়ক পথ 

মারিশ্যা/লংডু থেকে ফোর হুইলার/ চাঁদের গাড়ি/মটর সাইকেল রিজার্ভ করে ৩/৪ ঘন্টায় সাজেক যাওয়া যাবে।

*বিদ্রঃ বিকাল ৩টার পর সাজেক প্রবেশ করা যায় না। তাই এর আগেই পৌছাতে হবে। 

রাংগামাটি থেকে সাজেক (সড়ক পথ)

রাঙ্গামাটি-মারিশ্যা বাসঃ বাঘাইছড়ি-রাঙ্গামাটি পার্বত্য  জেলার  "রাঙ্গামাটি-মারিশ্যা" বিরতীহীন বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ১লা এপ্রিল থেকে এই সার্ভিস চালু করা হবে। বাঘাইছড়িবাসী এজন্য স্থানীয় প্রশাসন নেতৃবৃন্দু এবং খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি বাস মালিক সমিতিকে ধন্যাবাদ জানাচ্ছে। রাঙ্গামাটি থেকে প্রতিদিন  সকালে গাড়ী ছাড়বে সকাল ৮ঘটিকায় এবং মারিশ্যা থেকে ছাড়বে ৭.৫০ ঘটিকায়।
উল্লেখ্য যে, প্রতিবছর শুস্ক মৌসুমে কাপ্তাই লেকের পানি শুকিয়ে যাবার ফলে রাঙ্গামাটি-মারিশ্যা লঞ্চ চলাচল প্রায় ৬মাস বন্দ থাকে।

বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র মোঃ আলমগীর কবির বলেন, যাতায়াতের দূভোগের কারনে বাঘাইছড়ি-রাঙ্গামাটি যে বাস সার্ভিস চালু হয়েছে এটি বাঘাইছড়িবাসীর জন্য দিনে দিনে অফিসের কাজ করে বাঘাইছড়ি ফিরে আসতে পারবে

সড়ক পথেঃ রাঙ্গামাটি বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭.৩০ থেকে ৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে বাস ছাড়ে, ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা। সময় লাগে ৬-৭ ঘন্টা। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া যায় অথবা খাগড়াছড়ি হয়েও যাওয়া সম্ভব। ঢাকা থেকেও সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। বাঘাইছড়ি থেকে জীপ (চাদেঁর গাড়ি) অথবা মোটর সাইকেলে সাজেক ভ্যালীতে পৌঁছানো যায়।

সাজেক

সাজেকঃ খাগড়াছড়ি থেকে যাতায়াত

ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক যাবার রুটটা এমন……. 
খাগড়াছড়ি – দিঘীনালা – বাঘাইহাট – কাসলং – মাসালং – সাজেক।
খাগড়াছড়ি থেকে মাসালং পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিঃমিঃ রাস্তা ভাল। কিন্তু মাসালং থেকে সাজেক পর্যন্ত ১৭ কিঃমিঃ রাস্তা খুবই খারাপ। রাস্তা পাকা করার কাজ করছে আর্মি। রিস্ক নিয়ে অনেকেই মাইক্রেবাসে নিয়ে সাজেকে যায় বটে, তবে ফোর হুইল ড্রাইভ ভাল কন্ডিশনের গাড়ী ছাড়া এই চড়াই-উৎরাই ভাঙ্গা রাস্তা পার হওয়া খুবই কষ্টকর। বরং মাসালং থেকে চাঁদের গাড়ী ভাড়া নেয়া যেতে পারে। ভাড়া প্রতিদিনের জন্য ২০০০ টাকা। সাজেকে পৌঁছানোর আগে পাঁচ কিঃমিঃ রাস্তা আপনাকে একটানা শুধু উপরের দিকে উঠতে হবে।

কিভাবে যাবেনঃ 

ঢাকা থেকে শ্যামলী , হানিফ ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন । ভাড়া নিবে ৫২০ টাকা । শান্তি পরিবহনের বাস দীঘিনালা যায় । ভাড়া ৫৮০ টাকা । এছাড়া BRTC ও সেন্টমার্টিন্স পরিবহনের এসি বাস খাগড়াছড়ি যায় । যোগাযোগঃ সেন্টমার্টিন্স পরিবহন - আরামবাগঃ ০১৭৬২৬৯১৩৪১ , ০১৭৬২৬৯১৩৪০ । খাগড়াছড়িঃ ০১৭৬২৬৯১৩৫৮ ।শ্যামলী পরিবহন - আরামবাগঃ ০২-৭১৯৪২৯১ । কল্যাণপুরঃ ৯০০৩৩৩১ , ৮০৩৪২৭৫ । আসাদগেটঃ ৮১২৪৮৮১ , ৯১২৪৫৪ । দামপাড়া (চট্টগ্রাম)ঃ ০১৭১১৩৭১৪০৫ , ০১৭১১৩৭৭২৪৯ । শান্তি পরিবহন- ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির ভাড়া ৫২০ টাকা, দিঘিনালা ৫৮০ টাকা, পানছড়ি ৫৮০ টাকা, মেরুন ৬০০ টাকা, মাইনী ও মারিস্যা ৬৫০ টাকা। সায়দাবাদ থেকে সকাল ৮ টায় একটি গাড়ি খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত ১০ টা থেকে ১১.১৫ পর্যন্ত চারটি গাড়ি যায়। রাত ১০ টার গাড়ি পানছড়ি যায়। রাত ১০.৪৫ এর গাড়ি মাইনী। রাত ১১.১৫ গাড়ি মারিস্যা যায়। সব গুলো গাড়িই সায়দাবাদের সময়ের ১ ঘন্টা আগে গাবতলী থেকে ছেড়ে আসে। সায়দাবাদ (ঢাকা)- ০১১৯১২১৩৪৩৮।আরামবাগ ( ঢাকা ) – ০১১৯০৯৯৪০০৭ । অক্সিজেন(চট্টগ্রাম) ০১৮১৭৭১৫৫৫২ । চট্টগ্রাম থেকেও খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন । BRTC এসি বাস  কদমতলী(চট্টগ্রাম): ০১৬৮২৩৮৫১২৫ । খাগড়াছড়িঃ ০১৫৫৭৪০২৫০৭ ।

সাজেকঃ অবস্থান

সাধারণের রাতে থাকার জন্য কোন রেষ্ট হাউজ বা কটেজ গড়ে উঠেনি এখনও। একমাত্র থাকার জায়গা আর্মিদের রেস্ট হাউজ। ইসিবি ১৯ এর নির্মাণ করা দু’রুমের চমৎকার একটি রেস্ট হাউজ! তবে আর্মি রেফারেন্স ছাড়া এখানে জায়গা হবেনা আপনার। আর্মি রেফারেন্স থাকলেও অন্ততঃ ১৫ দিন আগে বুকিং দিতে হবে এখাতে থাকার জন্য।

সাজেক ঘুরে দেখবার জন্য এক বেলাই যথেষ্ট! সাথে নিজেদের গাড়ী থাকলে সাজেক থেকে ফেরার পথে মারিশ্যা অথবা লংগদু ও মায়ানিমূখ দেখে আসতে পারেন। 
সাজেক : অবস্থান/হোটেল (রুইলুই পাড়া)

সাজেক রিসোর্ট : এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট। যা সাজেকে অবস্থিত। যার দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষ আছে। ভি আই পি কক্ষ ১৫,০০০ টাকা। অন্যটি ১২,০০০ টাকা। অপর দুইটি ১০,০০০ টাকা করে প্রতিটি। খাবারের ব্যবস্থা আছে। যোগাযোগ : খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের গিরি থেবার মাধ্যমে বুকিং দিতে হবে। যার নম্বর : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪। আরেকটি নম্বর : ০১৮৪৭০৭০৩৯৫।

রুন্ময় : এটি সাজেকে অবস্থিত। এর নীচ তলায় তিনটি কক্ষ আছে। প্রতিটির ভাড়া ৪৪৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে ২ জন থাকতে পারবেন। ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। উপরের তলায় দুইটি কক্ষ আছে ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে দুই জন থাকতে পারবেন। এটাতেও ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। চারটি তাবু আছে প্রতি তাবুতে ২৮৫০ টাকা দিয়ে চার জন থাকতে পারবেন। যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২।

আলো রিসোর্ট : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এটিতে মোট ৬ টি রুম আছে। ডাবল রুম ৪ টি ( ২টি খাট করে) । যার প্রতিটির ভাড়া ১০০০ টাকা। সিংগেল রুম ২ টি । প্রতিটির ভাড়া ৭০০ টাকা । যোগাযোগ : পলাশ চাকমা - ০১৮৬৩৬০৬৯০৬।

রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউজ : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এখানে ১৫ জনের মত থাকতে পারবেন। ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হবে। নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন। এর কেয়ার টেকার মইয়া লুসাই দাদা সব ব্যবস্থা করে দিবে। লক্ষন নামেও একজন আছে, প্রয়োজনে আপনাদের সহযোগীতা করবে। এখানে দুইটি টয়লেট আছে। একটি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যটির জন্য ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে। যোগাযোগ : মইয়া লুসাই - ০১৮৩৮৪৯৭৬১২। লক্ষন - ০১৮৬০১০৩৪০২।

দীঘিনালা:

দীঘিনালা গেস্টহাউজঃ এটি দীঘিনালা শহরের বাস স্ট্যান্ডের উল্টো পাশে অবস্থিত । এটি দীঘিনালার আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে একটু মানসম্মত । এখানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে রুম নিয়ে থাকা যাবে । ট্রাভেলার হিসেবে এই গেস্ট হাউজে প্রথম আমি ও আমার "বাংলার ট্রেকার" গ্রুপ থাকি এবং অনেককে পাঠানোর কারনে আমার রেফারেন্স দিলে কিছুটা সুবিধা পাবেন । নূর মোহাম্মদ(ম্যানেজার) - ০১৮২৭৪৬৮৩৭৭ , কনক চাকমা : ০১৫৫৬৭০৩৮১৩।

শাহজাহান হোটেলঃ হোটেলটি  দীঘিনালা বাজারেই । ০১৮২৫৯৮০৮৬৭  (ম্যানেজার ) ০১৭৩২৫৭৩৬১৫ (মালিক )

দীঘিনালার চাঁদের গাড়ির ড্রাইভার সুনীল দাদা- ০১৫৫৬৭৭১৮৬৮,রাজ - ০১৮২০৭৪১৬৬২, ০১৮৪৯৮৭৮৬৪৯ । শিবু- ০১৮২০৭৪৬৭৪৪ । সাজেক যেতে গাইডের তেমন দরকার নেই । তবুও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন । আজম(গাইড , দীঘিনালা) - ০১৫৫৭৩৪৬৪৪২,  ০১৭৩৭৪৪২২৭২ । ড্রাইভার ও গাইডকে আমার রেফারেন্স দিয়ে কথা বললে সাজেক সহ খাগড়াছড়ির সব জায়গায় ওদের নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে আসতে পারবেন বলে আশা করছি

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িঃ অবস্থান/হোটেল

পর্যটকদের জন্য খাগড়াছড়িতে রয়েছে অনেক আবাসিক হোটেল। পর্যটন মোটেলে থাকতে পারেন, এছাড়া আছে জিরান হোটেল, হোটেল শৌল্য সুবর্ণ, থ্রী স্টার হোটেল, হোটেল লবিয়ত। কিছু হোটেল এর ফোন নাম্বার দেওয়া হলোঃ

পর্যটন মোটেলঃ ৬২০৮৪ ও ৬২০৮৫
হোটেল শৌল্য সুবর্ণঃ ৬১৪৩৬
জিরান হোটেলঃ ৬১০৭১
হোটেল লিবয়তঃ ৬১২২০
চৌধুরী বাডিং: ৬১১৭৬
থ্রি ষ্টার: ৬২০৫৭
ফোর ষ্টারঃ ৬২২৪০
উপহারঃ ৬১৯৮০
হোটেল নিলয়ঃ ০১৫৫৬-৭৭২২০৬
কৃতজ্ঞতা – (নীল ভোমরা)

* পর্যটন মোটেলঃ এটি শহরে ঢুকতেই চেঙ্গী নদী পার হলেই পরবে । মোটেলের সব কক্ষই ২ বিছানার । ভাড়াঃ এসি ২১০০ টাকা, নন এসি ১৩০০ টাকা । মোটেলের অভ্যন্তরে মাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র বানানো আছে । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫ ।

* গিরি থেবার : এটি খাগড়াছড়ি শহরের কাছে খাগড়াছড়ি ক্যন্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থিত। এখানে সিভিল ব্যক্তিরাও থাকতে পারে। সব রুমই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। যার মধ্যে ২ টি ভি আই পি রুম, প্রতিটির ভাড়া ৩০৫০ টাকা। ডাবল রুম ভাড়া ২০৫০ টাকা। একটি সিংগেল রুম যার ভাড়া ১২০০ টাকা। যোগাযোগ : কর্পোরেল রায়হান- ০১৮৫৯০২৫৬৯৪।

* হোটেল ইকো ছড়ি ইনঃ খাগড়াপুর ক্যান্টর্মেন্ট এর পাশে পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত । এটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ , ৩৭৪৩২২৫ ।
হোটেল শৈল সুবর্নঃ ০৩৭১-৬১৪৩৬ , ০১১৯০৭৭৬৮১২ ।
হোটেল জেরিনঃ ০৩৭১-৬১০৭১ ।
হোটেল লবিয়তঃ ০৩৭১-৬১২২০ , ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬ , ০১১৯৯২৪৪৭৩০ ।
হোটেল শিল্পীঃ ০৩৭১-৬১৭৯৫ ।











References:
  1. http://www.travelcracker.com/rangamati-kaptai-lake/
  2. http://www.travelcracker.com/sajek-valley/

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন