আল্লাহর জমিনে সবচেয়ে প্রভুভক্ত প্রাণী হল ঘোড়া। নিমক হারাম, নিমক হালাল কথাটা এসেছে ঘোড়াকে কেন্দ্র করে। ঘোড়াকে বশ মানানোর একটা সহজ উপায় হচ্ছে তাকে লবণ খেতে দেয়া। আমরা যেমন লবণ ছাড়া রান্নাকে পছন্দ করিনা। তেমনই লবণ এর স্বাদ পাওয়ার পর ঘোড়ার কাছে তার খাদ্য গুলা অতি সুস্বাদু মনে হয়। আর এজন্য সে তার মালিকের কাছে কৃতজ্ঞ থাকে। একেই বলে নিমক হালাল। বা যার নুন খায় তার গুন গায়।
যাই হোক ঘোড়া এমন প্রাণী যার মন পেতে হলে তাকে খুব তোয়াজ করতে হবে। আপনাকে বুঝাতে হবে দুনিয়াতে সে আপনার সবচেয়ে প্রিয়। এমনকি তার সামনে নিজের সন্তান বা প্রিয়দেরও খুব ভালবাসা প্রকাশ সে পছন্দ করে না। সে চায় সেরাটা। বিশেষ করে যুদ্ধের ঘোড়াকে এভাবেই প্রস্তুত করত প্রাচীন আরবরা আর যোদ্ধারা। আর ঘোড়া জানত তাকে এর বদলা দিতে হবে। সে জানে আমার এই ভালবাসার মূল্য আমাকে চুকাতেই হবে। কারণ সে নিমক হারামি পছন্দ করে না। সে প্রতিদান দিতে অতি ভালবাসে। সে কখনো শোয় না। সে কখনো বসে না। সে সদা সর্বদা প্রস্তুত থাকে তার মালিকের ডাকের জন্য। লাব্বাইক তার বলতে হয় না।
আসুন জানি সে কিভাবে বদলা দেয়। সে বিপদের দিনা বা লড়াইয়ের দিন বুঝে যায় আজই বদলা দেয়ার দিন। তাকে বলতে হয় না। সে মালিকের চোখ দেখেই বুঝে যায়। তাকে বলতে হয় না। সে পিঠে বসার পর মালিকের রানের পেশির কম্পনেই সব বুঝে যায়। সে বুঝে কখন চুপ থাকতে হবে, কখন হ্রেস্বা ধ্বনি দিতে হবে। কখন ছুটতে হবে, কখন থামতে হবে। সে ছুটে এত জোড়ে, তার পায়ের নাল পাথরে লেগে আগুলের ফুলকি ছড়ায়। আর তার পিছনে ধুলার মেঘ তৈরি করে।
যখন মালিকের বিপদ দেখে। দেখে যে মালিক চায় সে ছুটুক, সে ছুটতেই থাকে। কতক্ষণ? যতক্ষণ না তার সব রক্ত পানি হয়ে যায়, তার কলিজা ফেটে যায়। কারণ সে অহংকারী, সে ঋণী থাকতে পছন্দ করে না। সে জানে আমার মালিকের এই বিপদে আমার প্রাণ তুচ্ছ। আজ যে বদলা দেয়ার দিন।
আর মানুষ? বড়ই নিমকহারাম।
অথচ আল্লাহ চায় আমরা তার ঘোড়া বনে যাই। আল্লাহর যে বান্দা্রা ঘোড়ার মত অনুগত ও ছুটনেওয়ালা বনবে আল্লাহ দুনিয়া আর আখিরাতের রাজত্ব তাদেরই দিবেন।
সূত্রঃ সুরা দোহার তাফসির থেকে
বিদ্রঃ উম্মাহ আজ ঘোড়ার আনুগত্য বাদ দিয়ে কুকুরের প্রেমে মজেছে। মূলত ইহুদী ও নাস্তিক্যবাদ এনজিও দের ফান্ডের টাকায় এসব কুত্তা প্রেমী সংগঠন দাড়িয়েছে। কুত্তাসক্ত ও কুত্তার ব্যাথায় কান্না করা পেইড সেলিব্রেটিদের কখনো মানুষের জন্য কাঁদতে দেখবেন না।
কুকুরকে পশ্চিমারা প্রভুভক্ত ও বন্ধু প্রাণী বললেও ইহা মাংসাশী, লোভী, বিষাক্ত ও হিংস্র একটি প্রাণী। ইহা সত্য আদম আলাইহিওয়াসাল্লাম থেকে মানুষ পশু পাহাড়া ও শিকারের জন্য কুকুরকে পোষ মানিয়েছে। কিন্তু একদল ক্ষুধার্ত কুকুর তার মনিবকে খেয়ে ফেলতে সাধারণত দ্বিধা করে না। যদিনা সে দুর্বল হয়।